কথা রাখলেন এসকে সিনহা : শতবর্ষী সেই নারীকে কারামুক্তির নির্দেশ
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি চাঁদপুরের শতবর্ষী নারী অহিদুন্নেসার রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে তাকে কারামুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) নেতৃত্বধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতি বেঞ্চে সোমবার অহিদুন্নেসার রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
যদিও শতবর্ষী নারীকে মুক্তি দেয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা)। এ বিষয়ে গত ১৫ জুলাই “প্রধান বিচারপতির মানবিক বিবেচনায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন শতবর্ষী বৃদ্ধা অহিদুন্নেচ্ছা” শিরোনামে আওয়ার নিউজ বিডিতে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়। সে প্রতিবেদনের চারদিন পর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অহিদুন্নেসাকে কারামুক্তির আদেশ এলো।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এ বৃদ্ধাকে আইনি সহায়তা দিয়েছে জাতীয় আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ঢাকা লিগ্যাল অ্যাইড।
এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ বলেন, ‘মাননীয় চিফ জাস্টিস স্যারের অনুকম্পায় ইতোমধ্যে অহিদুন্নেসার পাশে দাঁড়িয়েছে লিগ্যাল অ্যাইড। অহিদুন্নেসাকে আইনি সহায়তা দিয়েছে এ সংস্থাটি।’
সাব্বির ফয়েজ আরো বলেন, ‘গত ২৯ জুন চিফ জাস্টিস স্যার কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শনে গিয়ে কথা বলেছিলেন অহিদুন্নেচ্ছার সঙ্গে। আশ্বাস দিয়েছিলেন আইনি সহায়তা দেয়ার। সে অনুযায়ী অহিদুন্নেসা রিভিউ আবেদন করেছিলেন। সে অবেদনের শুনানি করে সোমমবার আদালত তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন।’
কাশিমপুরে গিয়ে সেদিন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘শতবর্ষী একজন মানুষ সমাজের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। এজন্য তার মুক্তির উদ্যোগ নিতে জেল আপিল করতে হবে।’
জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ একই পরিবারের ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও অহিদুন্নেসাসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে, তা খারিজ করেন হাইকোর্ট। পরে নির্ধারিত সময়ের ৪৭০ দিন পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে, তাও খারিজ হয়ে যায়। ফলে কারাগারই হয় অহিদুন্নেসার শেষ ঠিকানা।
মন্তব্য চালু নেই