কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে উদয়-সাব্বিরকে সাগরে রেখেই অভিযান সমাপ্ত
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে সাগরে গোসল করতে গিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিখোঁজ ঘটনায় উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে। ইশতিয়াক বিন মাহমুদ উদয় ও সাব্বির হাসানকে সাগরে রেখেই উদ্ধার অভিযান শেষ করেছে কোস্ট গার্ড। রোববার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিয়েছেন কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার হারুন উর রশীদ। কোস্ট গার্ডের এ কর্মকর্তা জানান, উদয় ও সাব্বিরের সন্ধানে সেন্ট মার্টিনের পাশাপাশি টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ, কক্সবাজার ও কুতুবদিয়া উপকূলেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সাগরে নজরদারি থাকবে। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ চার ছাত্রের সন্ধানে সাগরে উদ্ধার অভিযান শুরু করে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড। দুদিন পর ১৬ এপ্রিল অভিযানের দ্বিতীয় দিনে শাহারিয়ার ইসলাম নোমান ও গোলাম রহিম বাপ্পীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এরপর টানা পাঁচদিনের অভিযানে দুই ছাত্রের মৃতদেহ না পাওয়ায় সাতদিনের মাথায় উদ্ধার অভিযানে সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো।
নিখোঁজ উদয়ের বাসা ঢাকার বাসাবোর মায়াকাননে। তার বাবা মাহমুদ উল্লাহ গাজী অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি কর্মকর্তা। মা দিল আফরোজ বেগম কমলাপুর স্কুলের শিক্ষিকা। তাদের তিন ছেলের মধ্যে উদয় বড়।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা সাব্বিরের বাবা হাসানুর রহমান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। তার মা সেলিনা আক্তার। তাদের এক ছেলে, এক মেয়ের মধ্যে সাব্বির বড়।
প্রসঙ্গত, ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে যায়। বাংলা নববর্ষ শুরুর দিন গত ১৪ এপ্রিল ৩৪ জন ছাত্র দল বেঁধে সাগরে নামে। এর মধ্যে নয়জন ভেসে যায়। পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর ইভান ও সাদ্দামের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য চালু নেই