কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি, আহমদ শফীর হাতে পুরো ক্ষমতা!

কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমমান দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত মঙ্গলবার রাতে গণভবনে কওমি মাদ্রাসা সংশ্লিস্টদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বৈঠকে এই স্বীকৃতির ঘোষণা দেওয়ার পর একদিনের মাথায় এই প্রজ্ঞাপন জারি হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এই সমমান দেওয়ার লক্ষ্যে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি (পদাধিকার বলে) ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
কমিটিতে বিভিন্ন মাদ্রাসা বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক)এর স্পষ্ট আধিপত্য দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে চেয়ারম্যান ছাড়াও একমাত্র কো-চেয়ারম্যান ও ৫ জন সদস্যসহ মোট ৭ সদস্য রাখা হয়েছে বেফাক থেকে। এর বাইরে পাঁচটি বোর্ডে বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া—গওহরডাঙ্গা, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসল কওমিয়া—চট্টগ্রাম, আযাদ দ্বীনি এদারা বোর্ড—সিলেট, তানজিমুল মাদারিসিল জওমিয়া—উত্তরবঙ্গ ও জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এর দুইজন করে প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়েছে। এই ১৭ সদস্যের কমিটির বাইরে আরো সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্যকে কো-অপ্ট করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আল্লামা আহমদ শফীকে।
এই কমিটির তত্ত্বাবধানে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দাওরায়ে হাদিসের সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্ন প্রণয়ন, সনদ তৈরিসহ আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই কমিটি দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই