ওষুধ না খেয়ে শুধু কানে ১ মিনিট চাপ দিলে সারবে অনেক রোগ!
ওষুধ না খেয়ে শুধু কানে এক মিনিট চাপ দিলেই পিঠ এবং কাঁধ ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, হজম সমস্যা ও হৃদরোগের মতো জটিল রোগ কমে যাবে! এ কথা শুনে হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এমনটা আবার হয় নাকি?
সব কিছুতে যুক্তি খোঁজা আমাদের জন্মগত অভ্যাস হলেও পৃথিবীতে এমন অনেক কিছু রয়েছে যা বাস্তবে কার্যকরী হলেও যুক্তির দুনিয়ায় এদের তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আদিকাল থেকে সারা বিশ্বে অ্যাকুপ্রেসার (Acupressure) পদ্ধতি বেশ জনপ্রয়িতা পেলেও আমাদের দেশে সেভাবে এই চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রসার ঘটেনি। কিন্তু বাস্তবে একাধিক রোগের উপসমে এই পদ্ধতি দারুন কাজে আসে। এই পদ্ধতিতে শরীরে কিছু বিশেষ অংশে চাপ প্রয়গের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে কানের পিঠে নিচের অংশ থেকে উপর পর্যন্ত ছয়টি পয়েন্ট করে নিন।
কানে এই প্রেসার পয়েন্টের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশের যোগ রয়েছে। এই অংশগুলিতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে চাপ দিলে শরীরের ওইসব অংশে যেসব সমস্যা হচ্ছে তা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
আর কেমনভাবে এমনটা সম্ভব হয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো;
কানের পয়েন্ট ১: প্রথম পয়েন্টের সঙ্গে পিঠ এবং কাঁধের যোগ রয়েছে। তাই তো এই জায়গায় ক্লিপ অথবা হাত দিয়ে মাত্র ৬০ সেকেন্ড (এক মিনিট) চাপ দিয়ে রাখলেই পিঠ এবং কাঁধের ব্যাথা কমে যাবে। প্রতিদিন এমনটা করলে তবেই ভালো ফল পাওয়া যাবে।
এছাড়া আপনি সারা দিন অফিসে চেয়ারে বসে কাজ করেন। এতে পিঠে খুব যন্ত্রণা হয়। এই ধরনের কষ্ট কমাতেও এই পদ্ধতি দারুন কাজে আসে।
পয়েন্ট ২: অনেক সময়ই নানা কারণে অস্বস্তিবোধ হতে থাকে। মনে হয় যেন শরীরের ভিতরে কেমন উথাল পাতাল হচ্ছে। এ সময় দ্বিতীয় পয়েন্টে একইভাবে চাপ দিন দেখবেন শরীরে চলতে থাকা অস্বস্তিবোধ কমে যাবে। এক্ষেত্রে অ্যাকুপ্রেসারের এই পদ্ধতিটি বেশ কাজে আসে।
পয়েন্ট ৩: কানের এই অংশের সঙ্গে আমাদের জয়েন্টের সম্পর্ক রয়েছে। তাই এই অংশে সামান্য চাপ দিলে জয়েন্টের অনেক সমস্যাই কমে যায়। বিশেষত যারা জয়েন্টর ব্যথায় মাঝে মধ্যেই কাবু থাকেন, তারা এই পদ্ধতিটির সাহায্য নিতে পারেন।
পয়েন্ট ৪: সাইনাসের সমস্যা থাকলে কানের এই অংশে প্রতিদিন ৬০ সেকেন্ড করে চাপ দিন। এমনটা করলে অল্প দিনেই আপনার কষ্ট কমতে শুরু করবে।
এছাড়া গলার একাধিক সমস্যা কমাতেও কানের এই অংশে চাপ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, নাক বন্ধের কারণে ঘুম না আসলে শুয়ে শুয়েই এই পদ্ধতিটিকে কাজে লাগান। দেখবেন খুব আরাম পাবেন।
পয়েন্ট ৫: কানের এই অংশের সঙ্গে হজম ক্ষমতার যোগ রয়েছে। তাই তো যারা বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন ক্লিপের সাহায্যে কানের ৫ নং অংশে ৬০ সেকেন্ড প্রেসার দিয়ে রাখুন। এমনটা করলে দেখবেন বদহজমসহ একাদিক হজম সংক্রান্ত সমস্যা কমে যেতে শুরু করবে।
পয়েন্ট ৬: হার্ট এবং মস্তিষ্কের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই ৬নং অংশের। তাই তো এখানে চাপ প্রয়োগ করলে মাইগ্রেন এবং মাথার যন্ত্রণা কমতে শুরু করবে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করা করলে হৃদরোগের সমস্যা থাকলে তার উন্নতি ঘটে।
মন্তব্য চালু নেই