ওজন নিয়ন্ত্রণে ভাতকে “বাদ” দিতে হবে না আর!
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অনেকেই সবার আগে ভাত খাওয়া বাদ দিয়ে দেম। কারণ বেশির ভাগ মানুষেরই ধারণা ভাত খেলে অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাবেন, ভাত হু হু করে ওজন বাড়ায়। তবে এবার গবেষকেরা বদলে দিলেন বহু বছরের পুরনো এই ধারণা। গবেষকেরা জানিয়েছেন প্রতিদিন ভাত খেয়েও সাধারণ ওজন বজায় রাখা সম্ভব। তবে শর্ত হচ্ছে শুধু ভাত খেলেই হবে না, এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারও খেতে হবে। সকল প্রকারের খাবারের মাঝে একটি ভারসাম্য তৈরি করে নিতে হবে।
প্রধান গবেষক ও বেলর কলেজ অফ মেডিসিনের থেরেসা নিকলাস ২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ ও নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভের মাধ্যমে এক পর্যবেক্ষণ করেন। এই গবেষণায় তিনি ১৪,৩৮৬ জন প্রাপ্ত বয়স্ককে অন্তর্গত করেন যারা ভাত খেতে অভ্যস্ত এবং এছাড়াও যারা পুষ্টিগত উপাদান খেয়ে থাকেন। নিকলাস জানিয়েছেন, তাদের এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে যারা নিয়মিত ভাত খান এবং সঙ্গে পুষ্টিগত গাইডলাইন মেনে চলেন তাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফোলেট এবং ফাইবার থাকে এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং চিনির পরিমাণ কম থাকে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন ভাত খাওয়ার সঙ্গে ফল, সবজি, মাংস ও বিনজাতীয় খাবার খেলেও শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ সীমিত থাকে, ফলে ওজনটাও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
সুতরাং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পছন্দের ভাতকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ না দিলেও চলবে, তবে এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় খাদ্যগুলো খেতে হবে। ফলে শরীরে বজায় থাকবে ভারসাম্য ও ওজন বাড়বে না।
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন যে প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন ভাতের চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন। এটা নির্ভর করে তাঁর দৈহিক গড়ন, লিঙ্গ ও কাজের ধরণের ওপর। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে প্রতিদিন কতটুকু ভাত খাওয়া যেতে পারে সেটা পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করেই নির্ণয় করা উচিত। পরিমিত ভাতের সঙ্গে খেতে হবে সম পরিমাণ সবজি, পরিমিত প্রোটিন ও অবশ্যই পর্যাপ্ত আঁশ জাতীয় খাদ্য। সম্প্রতি এই গবেষণাটি ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্সের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই