ওজন কমাতে ভীষণ সহায়ক যে ৫টি “জাদুকরী” পানীয়!

একটুখানি ওজন কমানোর জন্য না জানি কী কী চেষ্টা করে থাকি আমরা। আর কেনই বা করবো না, বাড়তি ওজন যে কে কোনো মানুষের জন্য সৌন্দর্য হানিকারক। কত ডায়েট, ব্যায়াম, হাজারো বিধিনিষেধে বেঁধে ফেলে নিজেকে কেবলই একটু ওজন কমানোর জন্যই।

আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবার নিয়ম মেনে খেতে হবে। করতে হবে হালকা ব্যায়াম। তবে এই ওজন কমানোর যুদ্ধে আপনার সহায়ক হতে পারে ৫টি দারুণ পানীয়। বেশ কিছু পানীয় আছে যা আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করবে, ওজন কম করতে ও নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করবে। আসুন জানি ওজন কমাতে সহায়ক সেই ৫টি জাদুকরী পানীয় সম্পর্কে।

কমলা/লেবু ইত্যাদি টক জাতীয় ফলের রস-
তাজা ফলের রসে অতিরিক্ত ওজন কমানোর সবচাইতে নির্ভরযোগ্য উপাদানগুলো রয়েছে৷ শুধুমাত্র তাজা ফল কিংবা ফল ও সবজি দুটিই মিশিয়ে আপনি জুস তৈরি করে নিতে পারেন নিজের জন্য। বিশেষ করে টক জাতীয় ফলের রস। কমলা/লেবুজাতীয় ফলের রস শরীরের ভিতরের সব বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে পারে, একই সাথে সহায়তা করে ওজন কমাতে। প্রতি সপ্তাহে এমন ফলের রস প্রায় আট আউন্স করে খেলে শরীরে মেদ ও গ্যাস সৃষ্টির সমস্যা দূর হবে। তবে অবশ্যই পান করবেন চিনি ছাড়া।

পানি-
পানি শরীরের ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। যদি শুধু পানি খেতে ভাল না লাগে তবে তার সঙ্গে লেবুর রস, শমা বা টমেটোর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। ওজন কমাতে সহায়ক সবচাইতে কার্যকরী পানীয় হচ্ছে পানি। দিনে অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি বা তরল খাবার আপনার ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে অত্যন্ত কার্যকর।

গ্রিন টি-
গ্রিন টি বিপাক ক্রিয়া জোরদার করে ও ওজন কমায় বলে গবেষকদের দ্বারা প্রমাণিত। গ্রিন টি মেটাবলিজম বাড়ায় ও বাড়তি ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। গ্রিন টিয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও লিকার চা-ও খুব উপকারী। দিনে অন্তত দু কাপ গ্রিন টি আপনার ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ভীষণভাবে সহায়ক। খাওয়ার পর গ্রিন টি পানে খাবার দ্রুত হজম হয়।

কালো কফি-
সকালে ও বিকেলে এক কাপ করে কফি ওজন হ্রাসে অত্যন্ত সহায়ক। তবে এতে দুধ ও চিনি একেবারে না দেওয়াই ভাল। তাতে ওজন কমার বদলে উল্টো বাড়বে।

দুধ-
দুধ প্রোটিন, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস। দুধ শরীরের পেশি গঠন ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে৷ সকালে নাশ্তায় দুধ পান দীর্ঘসময় ক্ষুধা মুক্ত রাখে আপনাকে ও হজম ক্ষমতা বাড়ায়। তবে অবশ্যই সর ও ফ্যাট ছাড়া স্কিম মিল্ক পান করবেন। দুধের সাথে নানান রকম ফল যেমন স্ত্রবেরী, পেঁপে ইত্যাদি ফল মিশিয়ে মিল্ক শেক তৈরি করেও পান করতে পারেন। তবে অবশ্যই চিনি ছাড়া।



মন্তব্য চালু নেই