‘ওই কমিটির রিটের এখতিয়ার নেই’
স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট করার এখতিয়ার নেই- বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
২৮ বছর আগে ১৫ জনের করা রিট আবেদনের শুনানির জন্য সোমবার আদালত বসার পর রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘এটা অনেক আগের মামলা। দুটি রুল হয়েছে। অনেক পুরনো ম্যাটার। ১৯৮৮ সালের রিট। পরে দুটি সম্পূরক আবেদনের রুল দেওয়া হয়েছে। এ জন্য আমাদের কিছু সময় প্রয়োজন।’ এ সময় আদালত বলেন, ‘ঠিক আছে, আপনি বসেন। আগে আবেদনকারীর আইনজীবীকে শুনবো।’
এরপর সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিচারপতি টি এইচ খান, এ বি এম নুরুল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবী ইসলাম ধর্মের পক্ষে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন নিয়ে দাঁড়ান। কিন্তু আদালত বলেন, ‘আপনার এখন বসেন। এখনো শুনানিই শুরু হয়নি। আগে রিট আবেদনের আইনজীবীকে শুনবো। পরে পক্ষভুক্ত হওয়ার বিষয়।’
এ সময় আদালত আবেদনকারীর আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীকে বলেন, ‘আপনাকে আমরা দেখে আসতে বলেছিলাম- ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির’ পক্ষে রিটটি দায়েরের লোকাস স্টান্ডি (রিট করার এখতিয়ার) ছিল কি?’ জবাবে সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘সংগঠন ছাড়াও রিটটি আলাদা আলাদাভাবে প্রত্যেকে আবেদনকারী হয়েছে।’
আদালত বলেন, ‘আমরা দেখছি ওই সংগঠনটির পক্ষে রিট আবেদন করা হয়েছে।’ তখন সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘শুনানির সময় আমরা বিস্তারিত বলব। সন্তোষকজনক জবাব দেব।’
আদালত বলেন, ‘ওই সংগঠনের রিট করার এখতিয়ার (লোকাস স্টান্ডি) নাই। রিট খারিজ, রুল ডিসচার্জ।’
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে সু্ব্রত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পূর্ণাঙ্গ রায় দেখব- কেন খারিজ হয়েছে। এরপর আপিল করব।’
মুরাদ রেজা বলেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম বহাল থাকার পাশাপাশি অন্য ধর্মের অধিকারও বহাল থাকল। এটা সংবিধানেও রয়েছে।’
রিট মামলটি করা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান করার পর। ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটি’র পক্ষে রিটকারী ১৫ বিশিষ্টজনের মধ্যে অনেকে ইতিমধ্যে মারা গেছেন।
মন্তব্য চালু নেই