এ মাসেই শুরু হচ্ছে গাড়ির ডিজিটাল ফিটনেস টেস্ট
কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে গাড়ির দ্রুত ফিটনেস পরীক্ষার কার্যক্রম এ মাসেই পুরোদমে শুরু করবে বাংলাদেশ রোডস ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
পরীক্ষামূলক ভাবে এখন শুধু একটি লেনে এ পদ্ধতিতে ‘ফিটনেস টেস্ট’ শেষে সনদ দেয়া হচ্ছে। এতে বেড়েছে গাড়ির ফিটনেস দেখার গতি। মাত্র ১৫ মিনিটে একটি গাড়ির সম্পূর্ণ ফিটনেস পরীক্ষা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (অক্টোবর ০৩) দুপুরে মিরপুরে বিআরটিএ’র ডিজিটাল ভেহিকল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিআইসি) ঘুরে দেখা গেছে, একের পর এক গাড়ির দ্রুত ফিটনেস পরীক্ষা শেষ করছেন পরিদর্শকরা। আর এ কাজে খালি চোখে আলাদা করে দেখার কিছু নেই। কম্পিউটার মনিটরে গাড়ির ফিটনেসের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে। একেকটি গাড়ি ফিটনেস সেন্টারে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট অবস্থান করছে।
তবে ভিআইসি’তে দুটি সারিতে গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষার জন্য মেশিন বসিয়ে রাখা থাকলেও এখন একটি সারিতে ফিটনেস দেখা হচ্ছে।এ বিষয়ে মিরপুর বিআরটিএর উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মাসুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফুল অপারেশনে আমরা এতোদিন যেতে পারিনি। তবে এ মাসেই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী দুটি সারিতে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে গাড়ির দ্রুত ফিটনেস পরীক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন’।
মাস দুয়েক আগেও গাড়ির ফিটনেস দেখা হতো খালি চোখে। অনেকটা অনুমাননির্ভর হয়ে একজন মোটরযান পরিদর্শক গাড়ির ফিটনেস সনদ দিয়ে দিতেন। পদ্ধতিগত দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনেক ত্রুটিপূর্ণ গাড়িই ফিটনেস সার্টিফিকেট পেয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু এ পদ্ধতিতে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে গাড়ির ফিটনেস দেয়া হচ্ছে।
এ কারণে অবৈধভাবে টাকা দিয়ে ফিটনেস নেয়াও বন্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন উপ-পরিচালক মাসুদ আলম।
বিআরটিএ পরিদর্শকরা জানান, পুরোদমে এটি চালু হলে তারা ঘণ্টায় ১৫টি গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করে দিতে পারবেন। আর গাড়ির ফিটনেসের সব তথ্য সবার সামনে প্রদর্শিত হয়। ফলে এখানে কারসাজি করে কোন গাড়ির ফিটনেস কেউ নিতে পারবে না।ডিজিটাল ভেহিকল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিআইসি) ঘুরে দেখা গেছে, গাড়ি চালক সরাসরি সেন্টারে ঢোকার জন্য লাইন ধরছেন। একটি একটি করে গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা চলছে। চালক ও গাড়ি মালিক চাইলে কম্পিউটার মনিটরে গাড়ির ত্রুটি বা ফিটনেস দেখে নিতে পারছেন সেখানেই। ম্যানুয়াল কোন পদ্ধতি এ সেন্টারে নেই। এ বছরের মধ্যে ডিজিটাল ফিটনেস কার্যক্রম ইকুরিয়া, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা অফিসেও চালুর ব্যাপারে আশাবাদী বিআরটি’এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিআরটিএ’র ঊর্ধ্বতন একজন পরিচালক জানান, এ পদ্ধতিতেই উন্নত বিশ্বে গাড়ির ফিটনেস চেক করা হয়। বাংলাদেশে পদ্ধতিটি নতুন হওয়ায় পরিদর্শকরা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আলাদা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
সেন্টারে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে দেখা গেছে, গাড়ি প্রবেশ মাত্রই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গাড়ির জ্বালানি টেস্ট করা হয়। মনিটরে জ্বালানি টেস্ট সফল হলে স্পিড পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেটাও মনিটরে প্রদর্শিত হয়। এরপর হেডলাইট পরীক্ষা করে একটু সামনে এগিয়ে নিয়ে গাড়ির ব্যালেন্স চেক করা হয়। ৫ থেকে ৬টি টেস্ট সম্পন্ন হওয়ার পর মনিটরে ফলাফল দেখায়। এরপরই গাড়ি ফিটনেসের জন্য সার্টিফিকেট পায়।খবর বাংলা নিউজের।
মন্তব্য চালু নেই