এসডিজি বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান সৃষ্টি : গভর্নর

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) পৌঁছতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ‘বর্তমান সরকারের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
গভর্নর বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের টেকসই উন্নয়নে পৌঁছতে হবে। তবে তা অর্জনে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও রেমিট্যান্স আহরণ বাড়ানো অন্যতম।
তিনি বলেন, দেশে বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা। প্রতিবছর হাজার হাজার জনশক্তি বের হচ্ছে। কিন্ত তাদের তেমন কর্মসংস্থান হচ্ছে না। তাই এসডিজি বাস্তবায়নে মুল চ্যালেঞ্জ হবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি। তিনি জানান, আমাদের অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি সমস্যা অন্যতম। তবে তা সমাধানে এপিজি গ্যাসের পরিকল্পনা অনেক দুর এগিয়ে গেছে। এছাড়া বর্তমানে রেমিট্যান্স আহরণ কমে গেছে। এসডিজির জন্য এটাও একটি সমস্যা। তাই রেমিট্যান্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অথনৈতিক উন্নয়নের মূল লক্ষ্য মানবসম্পদ উন্নয়ন। এক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। বর্তমানে দেশে বিশাল জনগোষ্ঠী যুবক। তাদের কাজে লাগাতে হবে। তাই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে আমাদের কাজ করতে হবে।
গভর্নর বলেন, জাতীয় বাজেটের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, মুল্যষ্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও তারল্যের ভারসাম্য রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে। এ মাসে দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণাতেও তার প্রতিফলন থাকবে।
সভায় প্রতিপাদ্য বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. একে আব্দুল মোমেন। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী ও এস.এম মনিরুজ্জামান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান। সভার সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ব্যাংক শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান।

































মন্তব্য চালু নেই