এসআই জাহিদ ও নাসিম আরো ৪ দিনের রিমান্ডে

আরো চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এসআই জাহিদ ও পুলিশের সোর্স নাসিমকে। ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিলো। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মিজানুর রহমান তাদের দুই জনকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ বুধবার আদালতে নেয়া হয় মিরপুরের ঝুট ব্যবসায়ী সুজন হত্যা মামলার আসামি এসআই জাহিদ ও পুলিশের সোর্স নাসিমকে।ঢাকা মহানগর হাকিম মিজানুরে রহমানের আদালতে তাদেরকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।আদালতের আসার আগে জাহিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা বললেও পরে তিনি সেখান থেকে সরে দাঁড়ান।রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হয় দুপুর একটার দিকে।

৫ দিনের রিমান্ডে এসআই জাহিদ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজনকে নির্যাতনের ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। দিতে চেয়েছিল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও।কিন্তু পরে তিনি সেখান থেকে সরে আসেন।

সুজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান।

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) তদন্ত কর্মকর্তা নিবারণ চন্দ্র বড়ুয়া গ্রেপ্তার হওয়া এসআই জাহিদকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান। বেলা দুইটার দিকে শুনানি শেষে পাঁচদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে মিরপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ খানের বিরুদ্ধে এসআই জাহিদের কর্মকাণ্ডে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও তাকে এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবদ করেনি ডিবি। ওসি ব্যতীত থানার অন্য সবাইকে ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সূত্র।

১২ জুলাই রাতে ঝুটব্যবসায়ী সুজনকে ধানমণ্ডির শংকরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেন মিরপুর থানার এসআই জাহিদ। গ্রেপ্তারের সময় এবং পরে থানায় নিয়ে বেধড়ক পেটানোয় তার মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় পরদিন জাহিদকে প্রত্যাহার এবং ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। ১৭ জুলাই মিরপুর থানায় করা মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই