মানবতাবিরোধী অপরাধ

এমপি হান্নানের অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ও তার ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে। সেদিনই আদেশের জন্য জন্য ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে আজ রবিবার (১১ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

এই মামলায় আসামিদের মধ্যে সাংসদ হান্নান, হান্নানের ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ (৬২), ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ (৬৯), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩), মো. হরমুজ আলী (৭৩) গ্রেফতারের পর কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া আসামি মো. ফখরুজ্জামান (৬১), মো. আব্দুস সাত্তার (৬১) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩) পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এ বছরের ১১ জুলাই তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম এর ৫টি অভিযোগ আনা হয়।

২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০১৫ সালের ১ অক্টোবর ট্রইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই হান্নানকে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। একইদিন গ্রেফতার করা হয় ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকেও।



মন্তব্য চালু নেই