‘এবার বন্ধ হয়ে যেতে পারে স্টার জলসা, জি বাংলা’ তবে…
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে জঙ্গি হামলায় পরে বন্ধ করা হয়েছে জাকির নায়েকের বিতর্কিত পিস টিভির সম্প্রচার। এছাড়াও বাংলাদেশে স্টার জলসা, জি বাংলা, স্টার প্লাসের মতো ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধের দাবিও জোরালো হচ্ছে। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি।
তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেউ যদি ওই চ্যানেলগুলো বন্ধের আবেদন করে তবে সরকার তা বিবেচনা করে দেখবে। এবিষয়ে তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ জানান, ‘সম্প্রতি স্টার জলসা, জি বাংলা, স্টার প্লাসের মতো ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধের যে দাবি উঠেছে তা আমরাও দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে কথাও হয়েছে।’
তিনি জানান, দাবিটি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আবেদন মন্ত্রণালয়ে আসেনি বলে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
তবে ২০১৪ সালে এ বিষয়ে হাইকোর্ট একটি রুলে ‘বাংলাদেশে স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা- এই ৩ ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান।
তখন তথ্য সচিবসহ স্বরাষ্ট্রসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, ডিজি জাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই রিট সম্পর্কে তথ্য সচিব জানান, ওখন ওই রিটটি করেছিলেন আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী। পরে রিটটি খারিজ হয়ে যায়।
শাহীন আরা লাইলীর ওই রিটে উল্লেখ করা হয়, স্টার জলসায় ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালে ‘পাখি’ চরিত্রে অভিনয়কারীর মতো পোশাক ঈদের সময় কিনতে না পেরে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৩ জন আত্মহত্যা করেছে বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। তাই জনস্বার্থে রিটটি করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সুদীপ্ত শর্মা বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের এই যুগে কোনো টেলিভিশন বা ওই জাতীয় কিছু বন্ধ করাটা সমর্থন যোগ্য না হলেও তা যদি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য ক্ষতিকর হয় তবে সেই বিষয়ে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
তার মতে, স্টার জলসা বা জি বাংলার মতো কিছু টিভি চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠান দেশের সংস্কৃতি ও পারিবারিক সম্প্রীতিকে ব্যাহত করছে। তাই এইগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করা উচিত।
মন্তব্য চালু নেই