এবার প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ!

কখনও মায়ের আঁচলের নিচে, কখনও হাসপাতালের আলমারির পেছনে মুখ লুকাচ্ছে শিশুটি। ৬-৭ বছর বয়সি প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটি মায়ের কাছে বার বার জানায়, “আমার ব্যথা করে, মা বাড়ি যামু।” ধর্ষণের শিকার ছোট্ট এই শিশুটি অসহ্য কষ্ট সহ্য করেও সবার কাছ থেকে মুখ লুকাতে চাচ্ছে। কেউ ডাকলেই ভয়ে কুকড়ে উঠছে সে। রবিবার রাতে মাদারীপুরের শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছোট্ট শিশুটির এ অবস্থা দেখে চোখে পানি আসে উপস্থিত সবার। শওকত নামে স্থানীয় এক নরপশু ধর্ষণ করে শিশুটিকে। এ ঘটনার পর মেয়েটিকে রাতেই পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসকরাও প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে রাতেই ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে বলে দাবি করলেও এখনও আটক করতে পারেনি।

সরেজমিনে একাধিক সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাচ্চর ইউনিয়নের ব্যাঙচোরা গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যানচালকের চার সন্তানের চার নম্বরের ওই শিশুকন্যা খানকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। রবিবার সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে রেখে মা গিয়েছিলেন পাশের বাড়িতে। এ সুযোগে একই এলাকার শুক্কুর খানের ছেলে শওকত খান (২৮) ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে শিশুটির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। ধর্ষণের একপর্যায়ে মেয়েটির চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় ধর্ষককে আটক করলেও পরে ধর্ষকের সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যায় ধর্ষককে। পরে স্বজনরা শিশুটিকে প্রথমে শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পান। গভীর রাতেই পুলিশ শিশুটিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ধর্ষককে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় আবুল জানান, ওই ভ্যানচালকের ঘরে ধস্তাধস্তির শব্দ ও চিৎকারে দরজা ভেঙে দেখি শওকত শিশুটিকে ধর্ষণ করছে। পরে মেয়েটিকে আমরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করি ও শওকতকে আটক করি। পরে শওকতের স্বজনরা মারধর করে ওকে নিয়ে যায়।” শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. খোরশেদ আলম বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিতের জন্য শিশুটিকে মাদারীপুর পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত দেখা গেছে। শিবচর থানার ওসি আ. সাত্তার বলেন, “আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পুলিশের একাধিক দল শওকতকে গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে নেমেছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।



মন্তব্য চালু নেই