এবার ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দিরে হামলা, প্রতীমা ভাঙচুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেই উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দুমন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভোরে সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের পোকাতি গ্রামে দুটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে কালির প্রতীমা ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেয় দুবৃর্ত্তরা।
কারা এই হামলা করেছে, সেটা জানাতে পারেনি পুলিশ। কাউকে আটকও করা যায়নি। এই ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়েছে। পুলিশ অবশ্য একে সাম্প্রদায়িক হামলা নয় বলে দাবি করে একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেছে।
পুলিশ জানিয়েছ, সদর উপজেলা নারগুন পোকাতি দূর্গা মন্দিরে বৃহস্পতিবার রাতে হিন্দু সস্প্রদায়ের কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার ভোরে স্থানীয়রা দেখতে পায়, একদল মানুষ মন্দিরের ভেতর থেকে প্রতীমা টেনে বাইরে নিয়ে আছড়ে ভেঙে ফেলছে। এ সময় মন্দিরের ভেতর একটি ধর্মগ্রস্থ পুড়িয়ে দেয় দুবৃর্ত্তরা।
পরে ওই এলাকার পাশের একটি কালী মন্দিরেও হামলা করে দুর্বৃত্তরা। সেখানেও একই কায়দায় কালীর মুর্তি ভাঙচুর করে দুবৃর্ত্তরা।
স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ ঘটনাস্থল ছুটে যান। তবে তার আগেই দুর্বৃত্তরা এলাকা ছাড়ে। পুলিশ সুপার এই ঘটনায় আতঙ্কিত না হতে সংখ্যালঘুদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাদের নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
এই ঘটনা তদন্তে স্থানীয়দের সহযোগিতা চান পুলিশ সুপার। কারও নাম জানলে পুলিশকে তথ্য দেয়ার অনুরোধ করে তিনি বলেন, তথ্যদাতার নাম-পরিচয় গোপন থাকবে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, দুর্বৃত্তদেরকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা বিছিন্ন ঘটনা, কোন সাম্প্রদায়িক বিষয় নয়।’
গত রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফেইসবুকে কথিত ধর্ম অবমাননার ছবি পোস্ট করার অভিযোগ তুলে স্থানীয় হিন্দু মন্দির ও শতাধিক বাড়িতে বেপরোয়া হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হিন্দুদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই