এনজিওরাও (বেসরকারি সংস্থা) ধোয়া তুলসী পাতা নয়; এনজিও ব্যুরোর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ আছে বলে অভিযোগ করেছেন দুর্নীতি দমক কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকালে এনজিও ব্যুরো আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে এনজিওদের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এনজিওর কাজের প্রশংসা করে বলেন, ‘সারাদেশে গাছ লাগানো, পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখা এবং শিক্ষা সেক্টরে অংশ গ্রহণের জন্য এনজিওগুলো প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। তবে এটাও ঠিক এনজিওরা ধোয়া তুলসী পাতা নয়; এনজিও ব্যুরোর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ আছে।’

আমি তৃণমূল পর্যায় থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধে এনজিওদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘এখন দুর্নীতি প্রতিরোধের সময় এসেছে। শুধু নিজের নয়, আশপাশের সেক্টরের দিকেও নজর রাখতে হবে।’

এনজিও প্রতিনিধিদের বক্তব্যের সূত্রধরে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দুদক সরকারের অংশ নয়; আমাদের কাজ দুর্নীতি দমন করা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে সকল অভিযোগ পাই তার অধিকাংশ ক্ষেত্রে শক্ত কোনো সাক্ষী বা প্রমাণ পাওয়া যায় না। সাহসী মানুষের অভাব।’

এ সময় এনজিও প্রতিনিধিরা তাদের নানা অভিজ্ঞতা এবং প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন।

গ্রাম বিকাশ সহায়তা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাসুদা ফারুক রত্না বলেন, ‘দুর্নীতি তৃণমূল থেকে নয়; নির্মূল করতে হবে উপর মহল থেকে। তা হলেই নিচের দিকে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সহজ হবে।’

খালেদা খানম বলেন, ‘আমাদের সাহসের অভাব নেই। কিন্তু সাহস দেখাতে গেলে নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে হয়।’

এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন- তত্ত্বাবধারক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারউদ্দিন, নিজেরা করির খুশি কবীর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের শামীমা ইসলাম, অরমা দত্ত, মাসুদা ফারুক রত্না, কাজল সেন গুপ্ত, খালেদা খানম, সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন এনজিওএ প্রতিনিধি।