এদেশে বিএনপির রাজনীতির কবর হবে

রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি বলেছেন, ‘বিএনপি মানুষ হত্যার কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই মনে রাখবেন, এদেশে খালেদা জিয়া ও বিএনপির রাজনীতির কবর হবে।’
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন দল। তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। বিএনপির সব আন্দোলন ভেস্তেগেছে। চোরাগোপ্তা হামলা আর পুরিয়ে মানুষ হত্যা বিএনপিকে বাংলাদেশের জনগণের কাছথেকে অনেক দূরে নিয়ে গেছে। বিএনপি তাদের অস্তিত্ব নিয়ে সংকটে পরবে সেদিন বেশি দূরে নয়।’
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম’র মিরসরাইয়ের চিনকি আস্তানা রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত নাশকতা প্রতিরোধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন খালেদার হিংসা হচ্ছে তা সহ্য করতে না পেরে মানুষ হত্যায় নেমেছে। বিএনপি সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যেমে প্রমাণ করেছে তারা সর্বহারা উগ্রপন্থি দল। বিশ্বের কোনো দেশে মানুষ হত্যা করে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাওয়ার নজির নেই। মানুষ হত্যা করে কোনো দিন ক্ষমতায় যাওয়া যায় না।’
রেলমন্ত্রি আরও বলেন, ‘নাশকতা চোরাগোপ্তা হামলা কোনো রাজনীতি দলের কর্মসূচি হতে পারে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই রাজনীতি করতে হয় এর বাইরে রাজনীতি হয় না। নাশকতাকারীরা বোমা হামলাকারীরা দেশ ও জনগণের শত্রু, তাদের সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, যারা বর্তমানে দেশের মানুষের গায়ে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছে তারা দেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না। এরা পাকিস্তানের দোসর। তাই দেশের মানুষকে কোনো ভাবেই মানুষ পোড়াতে দেয়া যাবে না। খালেদা জিয়া উন্মাদ হয়ে গেছে। বিএনপি নেতাদের মাঝে আন্তকোলহ সৃষ্টি হয়েছে। খালেদা জিয়ার আচরণ দেখে বিএনপি নেতারাও অবাক, তাই সবাইকে এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
মুজিবুল হক এমপি বলেন, ‘জামায়াত এদেশে জঙ্গি দল হিসেবে পরিচিত এবং স্বীকৃত তারা বুঝে গেছে এদেশে ধর্মব্যবসা হবে না তাই তারা মানুষ হত্যায় লিপ্ত হয়েছে। তবে মনে রাখবেন তারা কোনো দিন সফল হবে না। তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে ২০১৫ সালেও আবার স্বাধীনতাকামী মানুষের নিকট পরাজিত হবে ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিগত দিনে বাংলাদেশ রেলওয়েকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। যার ফলে বিগত সরকারের অমলে রেলকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এতে রেললাইন সম্প্রসারণের বদলে সংকুচিত হয়েছে।’
রেলমন্ত্রী বলেন ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সারাদেশে রেলপথে ব্যাপক উন্নয়ন করে আজ বাংলাদেশে রেলকে একটি সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে পরিণত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের উন্নয়নের জন্য বাস্তব সম্মত বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন এবং তার নির্দেশনায় রেললাইন সম্প্রসারণের কাজে এগিয়ে চলছে। রেলের সম্পদ রক্ষায় দায়িত্ব সবার তাই সবাইকে সরকারি সম্পদ রেলকে দেখে রাখার জন্য নিদের্শ দেন।
রেওলয়ের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলমের সঞ্চলানায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমল কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) হাবিবুর রহমান, পূর্বাঞ্চলীয় মহাপরিচালক মোজাম্মেল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াছমিন শাহীন কাকলী, বারইয়ার হাট পৌরসভার মেয়র এস এম তাহের ভূঁঞা, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকছুদ আহম্মেদ চৌধুরী প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন- এডিজি কাজী রফিকুল আলম, মহাব্যবস্থাপক পূর্বাঞ্চল মোজাম্মেল হক, বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার মুরাদ হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জিআরপি থানার ওসি জিআরপি থানার ওসি হিমাংসু কুমার ও জোরারগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী।



মন্তব্য চালু নেই