মৎস্য মন্ত্রীকে ডেপুটি স্পিকার
এগুলো হচ্ছেটা কী?
দেশের হাওর, নদী-নালা, খাল-বিলসহ জলাধারগুলো সঠিকভাবে খনন না করেই অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। একাধিক সংসদ সদস্য এ নিয়ে অভিযোগ করেছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীর কাছে ডেপুটি স্পিকার প্রশ্ন তুলেন, এগুলো হচ্ছেটা কী? এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে, কেন অভিযোগ আসছে।
রোববার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৪ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের লেকের পানিতে মাছের পোনা অবমুক্তিকরণ অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রীর কাছে এ প্রশ্ন তুলেন। দরিদ্র জেলেদের প্রাপ্য (অনুদান) সঠিক ভাবে দেয়া হয় কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
অভিযোগ করে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘অনেক সংসদ সদস্য আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। তারা জানিয়েছেন জেলেদের কাছে তার প্রাপ্য অনুদান যায় না। জেলেরা সঠিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এটা অন্যায়।’
সংসদ ভবনের লেকে মাছের পোনা অবমুক্তিকরণ করা হয়- মৃগেল ৩ হাজার ৭৯৬ , কাতল ৫ হাজার ৪৭৪, রুই ৩ হাজার ৬৫০ টি পোনা।
ডেপুটি স্পিকারের অভিযোগের জবাবে বলেন, ‘দরিদ্র জেলেদের সবার কাছে আমরা সঠিক ভাবে কার্ড পৌঁছে দিতে পারিনি। কিছু অনিয়ম হয়েছে। তবে আগের অনিয়মের চেয়ে এখনকার অনিয়ম কিছুই না। আমরা অনিয়ম কমিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিএনপির আমলে মাছের অভাবে মানুষ ভুলেই গিয়েছিল আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। কিন্তু এখন আবার মাছে উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছি। আমরা প্রতি বছর এক লাখ ম্যাট্রিকটন করে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বিগত পাঁচ বছরে মাছের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭ লাখ মেট্রিকটন, কিন্তু এখন ৩৪ লাখ ম্যাট্রিকটন উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের চাহিদা রয়েছে ৪২ লাখ ম্যাট্রিকটন।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রতি বছর এক লাখ ম্যাট্রিক টন করে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নেয়ায় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে জেলেদের পরিচয়পত্র ও প্রাপ্য সকল সুবিধা সুষম বণ্টনের অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব শেলীনা আফরোজ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই