এখন শুধু রাস্তাতেই হরতাল হয়
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘এখন শুধু রাস্তাতেই হরতাল হয়, অন্য কোথাও হয় না। হরতালেও কলকারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম সচল থাকে।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত লুক ইস্ট: এশিয়া ইকোনমিক ইনট্রিগেশন অ্যান্ড বাংলাদেশ পাসপেকটিভস শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেইটিআরও), ইকোনোমিক রিসাস ইন্সটিউট ফর এশিয়ান অ্যান্ড ইস্ট এশিয়া (ইআরআইএ), বিআইডিএস, পিআরআই এবং এফবিসিসিআই যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইন করে হরতাল বন্ধ করতে চাই না। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করলে হরতাল টিকবে না।’
কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমি জাপানিদের বলবো আপনারা নির্ভয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন।’
তিনি বলেন, ‘এখানে নিরাপত্তা ও সহনশীলতা সামাজিকভাবে অনেক বেশি। আমরা অবকাঠামোর উন্নয়ন করে দিচ্ছি এবং তা আরো বেগবান হবে, যাতে পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে বিনিয়োগ বেশি মাত্রায় হয়।’
প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিশ্বের প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি বলছে অথচ একটি দেশিয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান শুধু নেতিবাচকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ব্যাখ্যা করছে। আমাদের এখন পূর্বমুখি হতেই হবে। জাপান আমাদের শুল্কমুক্ত পণ্য সুবিধা দিচ্ছে। চীনসহ পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ এ সুবিধা দিচ্ছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক শিল্পে আমাদের ১৬ দশমিক ২৮ ভাগ শুল্ক দিতে হয়।’
এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ নাফটা ও ইইউভূক্ত দেশে মোট রপ্তানির ৭৫ ভাগ করে থাকে, অপরদিকে, মোট আমদানির ৫৫ ভাগ করে থাকে দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়া থেকে। এ বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে হবে। এজন্য দক্ষিণপূর্ব ও পূর্বএশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অবশ্যই বাড়াতে হবে। এ অঞ্চলের মধ্যে অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সিরো সাদো সিমা প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই