এখন পর্যন্ত একজন সন্ত্রাসীরও বিচার হয়েছে কি, প্রশ্ন রাশেদার
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী সম্পাদক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী বলেছেন, ‘কাঁদা ছোড়াছুড়ির রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে জন্ম নিচ্ছে জঙ্গিবাদ নামক অসুর।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘রাজনৈতিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি দেখে দেখে তরুণরা যে বিপথগামী হচ্ছে না সেটা কে বলবে? এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে তরুণরা কী মূল্যবোধ শিখবে?’
সোমবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (আইএইচডি) এবং জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট (এনএফটিই)
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘যে সন্তান তার মাকে নিজের ঘরে নির্যাতিত হতে দেখে, সেই সন্তান কী মূল্যবোধ শিখবে? কিংবা যে সন্তান দেখেছে তার বাবার আয় ৪০ হাজার টাকা অথচ খরচ করছে ১ লাখ টাকা, তাদের মনে কি প্রশ্ন জাগে না যে বাড়তি টাকা কোথা থেকে আসে? তারা কী মূল্যবোধ শিখবে?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে দিতে পরীক্ষার্থীতে পরিণত হয়েছে। তাদের পেছনে একটার পর একটা পরীক্ষা লেগেই থেকে। শিক্ষার্থীরা মুক্তচিন্তা ও বিনোদনের কোনো সুযোগ পায় না। অথচ ব্রিটেনে ১৬ বছর বয়সের আগে শিক্ষার্থীদের কোনো পাবলিক পরীক্ষা দিতে হয় না।’
প্রতিবেশি দেশের টেলিভিশন ও সিরিয়াল দেখে দেখে আমাদের তরুণ-তরুণীদের মানসিক অবক্ষয় হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রাশেদা কে. চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। উন্নত দেশগুলোতে সন্ত্রাসীদের ধরে বিচারের আওতায় আনা হয়। কিন্তু আমাদের এখানে সন্ত্রাসীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার পর একধরনের ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হয়। এখন পর্যন্ত একজন সন্ত্রাসীর বিচার হয়েছে কি?’
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের পর ধুম্রজাল সৃষ্টি না করে তাদের বিচার করুন। তাহলে জনগণের মধ্যে স্বস্তি আসবে, ভরসা করতে শিখবে।’
বাংলাদেশে কখনো জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশার কথা হলো বিপথগামী তরুণের সংখ্যা খুবই কম। আরেকটি আশার কথা হচ্ছে, আমাদের এই বিশাল জনগোষ্ঠী ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। এরাই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করবে।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হক, আইএইচডি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই