এক বছর পর আ.লীগের বিচার : গয়েশ্বর

‘আগামী এক বছর পর আওয়ামী লীগের বিচার করা হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে কটূক্তি এ যেন ধৃষ্টতার শামিল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘৪৩ বছর পর যদি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয় তাহলে আজকে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ৪৩ বছর পর নয়, এক বছর পর আমরা তাদের বিচার করবো।’

তিনি বলেন, ‘জনগণ যখন ভোট দেয়ার সুযোগ পায় তখন আওয়ামী লীগের কপালে ভোট জোটে না। এ কারণেই তারা জনগণকে ভোট দিতে দেয় না।’

সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘অন্যের সমালোচনা করে নিজের ব্যর্থতা আড়াল করা যায় না। জবরদখলকারী এত অপকর্ম ছাই দিয়ে ঢাকা যাবে না। এ কারণেই তারা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। জনগণ চায় তারা নির্বাসিত হোক।’

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি গণতন্ত্রের পক্ষে থাকেন তাহলে কেউ গণতন্ত্রে নগ্ন হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘একটি ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে। তিনি মুখ দিয়ে যা বলেন তাই হলো সংবিধান। দেশে এখন গণতন্ত্র নয় হাসিনা তন্ত্র চলছে।’

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগের ওপর আইনের শাসন নির্ভর করে। কিন্তু বিচারকদের মধ্যে বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।’

জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার‌ম্যান কবির মুরাদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর বাহা উদ্দিন বাহার, যুগ্ম মহাসচিব এম জহির আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সহকারী মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ।



মন্তব্য চালু নেই