এক বছর নিষিদ্ধ হাফিজ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে হাফিজের বোলিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। এরপর তিনি ৬ জুলাই পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় আবারো তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হয়েছে। আর সে কারণে পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।

গেল নভেম্বরের পর থেকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হওয়ায় তার উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই এক বছরের মধ্যে তার বোলিং অ্যাকশনের পুনঃপরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন না হাফিজ। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিসি।

গেল নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। এরপর ডিসেম্বরে তিনি পরীক্ষা দেন। তাতে তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ বলে প্রমাণিত হয়। নিজের বোলিং অ্যাকশন শুধরে নিয়ে পুনঃরায় তিনি পরীক্ষা দিয়ে এপ্রিল মাসে উত্তীর্ণ হন।

কিন্তু গেল মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে আবারো তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়াররা। ফলে ৬ জুলাই তিনি বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন এবং অনুত্তীর্ণ হন। ফলশ্রুতিতে আইসিসির নিয়মানুযায়ী এক বছরের মধ্যে কোনো বোলারের বোলিং অ্যাকশন যদি দুইবার অবৈধ বলে প্রমাণিত হয় তাহলে তিনি এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবেন।

আইসিসি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই নিষেধাজ্ঞার কারণে হাফিজ আর কোনো পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে না। তবে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে তার বোলিং অ্যাকশনের পুনঃপরীক্ষার জন্য আইসিসির কাছে আবেদন করতে পারবে।’

৬ জুলাই চেন্নাইয়ের শ্রী রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন হাফিজ। পরীক্ষায় দেখা যায় হাফিজের কুনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বেঁকে যায়। আর সে কারণেই তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হওয়ায় এক বছরের নিষেধাজ্ঞার খড়গের নিচে পড়েন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার।



মন্তব্য চালু নেই