এক প্রকল্পে মন্ত্রীর ১০৩ বার পরিদর্শন
অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ১০৩ বার পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ার আন্তযোগাযোগ ও বাণিজ্য সুবিধা’ শীর্ষক সংলাপে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের কাজ জোরশোরে এগিয়ে চলছে। এজন্য গত তিন বছরে আমার ১০৩ বার প্রকল্পস্থল পরিদর্শন করতে হয়েছে। ইতিমধ্যে অন্তত ১৮০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ও ২০টি সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন নির্মিত ১০০ কিলোমিটার সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সড়কের প্রশস্ততা দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় অনেকাংশে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারছে।’
বাস্তবতা অনেক কঠিন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে মসজিদ-মাদরাসা ও মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা ছিল; যা স্থানান্তর করতে সরকারের চরম ভোগ পোহাতে হয়েছে। একটি মসজিদ সরাতে স্থানীয়দের সঙ্গে আমার ১০টি মিটিং করতে হয়েছে।’
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে চুক্তির ফলে ব্যবসার নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।’
এই সংযোগ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশসহ এতদঞ্চল ব্যবসা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে শীর্ষ অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এছাড়াও বাংলাদেশের যে সম্ভাবনাময় পর্যটন খাত রয়েছে তা আরো বিকশিত হবে বলে মনে করেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় এই ব্যবসায়ী নেতা।
সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে সংলাপে ঢাকায়নিযুক্তভারতেরহাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ ও নেপালেররাষ্ট্রদূত এইচ কে শ্রেষ্ঠা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ চুক্তির অধীনে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক-লরি ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি চলতে পারবে। শুল্ক ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে নিজ নিজ দেশের আইনে। তবে ট্রানজিট ও চলাচলের অনুমতিসংক্রান্ত ফি নির্ধারণ আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
মন্তব্য চালু নেই