এক কাপ আদার রসের অতুলনীয় ৬ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

আদার ভেষজ ও ঔষধি উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন। আদা শুধু খাবারে স্বতন্ত্র স্বাদ ও গন্ধই সৃষ্টি করেনা বরং সাধারণ ঠান্ডা, কাশি, বদহজম, গলা ব্যথা ও অন্যান্য আরো কিছু রোগে ভোগা থেকে রক্ষা করে। আদা চিবিয়ে খেতে ভালো না লাগলে আদার জুস করে খেতে পারেন। আদার রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

আদাতে অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান আছে। গবেষণায় জানা গেছে যে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে আদা এবং যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদেরও। ১ কাপ আদার রস খালি পেটের গ্লুকোজ লেভেলও নিয়ন্ত্রণ করে।

২। মানসিক বয়স বৃদ্ধি বিলম্বিত করে

আদায় ফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান থাকে। এছাড়াও নিউরোপ্রোটেক্টিভ বৈশিষ্ট্য আছে আদার। আদার রসে মস্তিস্ককে স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য প্রোটিনের লেভেল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে বৃদ্ধাবস্থার বিভিন্ন সমস্যা যেমন- আলঝেইমার্স ও অন্যান্য মানসিক সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে।

৩। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে

আস্ত আদায় বিভিন্ন ধরণের বায়োএকটিভ ফেনোলিক্স এবং নন ভোলাটাইল পাঞ্জেন্ট উপাদান যেমন- জিঞ্জেরলস, প্যারাডলস, শোগায়োল এবং জিঞ্জেরোনেস থাকে। গবেষণায় জানা যায় যে, আদার রসে ক্যান্সারনাশক উপাদান থাকে। প্রোস্টেট ক্যান্সারের ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে আদার রস।

৪। জিআই ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়

পরীক্ষামূলক গবেষণায় জানা যায় যে, আদা ও এর সক্রিয় উপাদান ৬-জিঞ্জেরল ও ৬-শোগায়োল গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে।

৫। কোলেস্টেরল কমায়

যেহেতু আদা গ্লুকোজের মাত্রার উপর কাজ করে তাই মনে করা হয় যে, আদা কোলেস্টেরলের স্তরও কমাতে পারে।

৬। আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমায়

একটি গবেষণায় জানা যায় যে, আদার রসে ব্যথা নাশক উপাদান আছে। দীর্ঘস্থায়ী হাঁটু ব্যথার রোগীদের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে আদা।

আদার জুস তৈরি করবেন যেভাবে-

একটি আদা ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। তারপর একটি মিক্সারে সামান্য পানিসহ আদাকুচি দিয়ে ভালো করে চূর্ণ করুন। তারপর ছেকে রসটুকু আলাদা করুন। এর মাঝে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন, ব্যস তৈরি হয়ে গেল আদার জুস।



মন্তব্য চালু নেই