একাধিকবার বিক্রি হয়ে নিজের ঘরে কিশোরী!

ঘটনাটি ঘটেছে ১৯৯৫-৯৬ সালের দিকে। কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে কাশ্মীরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে মানবপাচারকারীদের হাতে পড়েন কিশোরী। জানা গেছে, তিনি যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে গিয়ে ছিলেন, তারাই তাকে বিক্রি করে পাচারকারীদের হাতে। সেই প্রতিবেশীদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন মহিলা ছিলো। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পায়নি পরিবারের সদস্যরা।

হারানো নাতনিকে খোঁজে বের করতে বেশ ক’বার কাশ্মীরে গিয়েছেন কিশোরীর দাদি। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, তার প্রথম স্বামী নিজে তাকে বিক্রি করতেই কাশ্মীর পাঠিয়ে ছিলো। এরপর একাধিক হাত বদল হয়েছে সে। পরে কাশ্মীরেই তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামী তাকে মুর্শিদাবাদে ফিরতে দেয়নি। ফিরলে মৃত্যুর হুমকি দেয়।

অবশেষে সব কিছু তুচ্ছ করে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়া কিছু লোকের সহযোগীতায় দীর্ঘ ১৯ বছর পর বাড়ী ফিরে কিশোরীটি। উনিশ বছরের জীবনযুদ্ধে জিতে আজ সফল হয়ে নিজের ঘরে ফিরেছে মেয়েটি। দীর্ঘ এতোগুলো বছর পর মেয়ে বাড়ী ফিরেছে তাই তাকে দেখতে পুরো গ্রামই যেন জমা হয়েছে মুর্শিদাবাদের মির্জাপুরে। তবে মেয়েটি এখন আর ১৯/২০-এ নেই, তিনি এখন পাঁচ সন্তানের মা। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় তার পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে।



মন্তব্য চালু নেই