একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় মার্শা বার্নিকাটের

ঢাকায় নবনিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট আজ প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ-এর কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের প্রসারে সহযোগিতা করার তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখি, এবং আমরা জানি যে উভয় দেশের জনগণই উপকৃত হয় যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করি, যা আমরা অনেক বিষয়েই করে থাকি।

রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট রাষ্ট্রপতি হামিদকে বাংলাদেশের প্রসারে সহযোগিতা করার তার ইচ্ছার কথা জানান যা নিরাপদ ও সহিষ্ণু, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসরমান , জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে সাড়া দিতে প্রস্তুত এবং যা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করে। এছাড়াও রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী জনগণের এবং একই সাথে আঞ্চলিক ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের শক্তিশালী সম্পর্কের উপর জোর দেন।

রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছান। একজন মিনিস্টার-কাউন্সিলর পর্যায়ের পেশাদার উর্ধ্বতন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট সর্বশেষ ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবসম্পদ ব্যুরোতে উপ-সহকারী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি সেনেগাল ও গিনি-বিসাউ -এর রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের দক্ষিণ-এশিয়া অঞ্চলেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি অফিস ডিরেক্টর হিসেবে ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোতে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও ভারতের নয়া দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি ডেপুটি পলিটিক্যাল কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন।



মন্তব্য চালু নেই