একমাত্র জাপা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেছে

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা তথা অর্থনৈতিক মুক্তি। বর্তমানে দেশে তার কোনোটারই অস্তিত্ব নেই। ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখন ভূলুণ্ঠিত।

বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পার্টির ঈদ পুনর্মিলনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

বাবলু বলেন, একমাত্র জাতীয় পার্টিই সব অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন-পালন করেছে। আগামীতেও করে যাবে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সর্বস্তরের জনগণ এবং নতুন প্রজন্মকে জাতীয় পার্টির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, অনেকেই মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন, কিন্তু সত্যিকার অর্থে কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করে থাকেন, তাহলে তিনি হচ্ছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে পল্লীবন্ধু এরশাদ যা করেছেন আর কোনো সরকার তা করতে পারেননি।

দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টির আমলে দেশে মানুষের শান্তি-নিরাপত্তা-স্থিতিশীলতা বিরাজ করেছে। মানুষের বাক-স্বাধীনতা ছিল। তখন দেশে উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও সংস্কারের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এইসব অর্জনের লক্ষ্য নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল। সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে একমাত্র হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে। তাই দেশের মানুষ এখন আবার এরশাদের শাসনামল ফিরে পেতে চায়।

প্রজন্ম পার্টির সভাপতি ডা. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, অ্যাড. জিয়াউল ইসলাম ভূঁইয়া, নুরুল ইসলাম নুরু, ইসহাক ভূঁইয়া, জাতীয় প্রজন্ম পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব নাজিম আহম্মেদ চিশতী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটি বেলা ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় দুই ঘণ্টা পর অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং প্রধান অতিথিই অনুষ্ঠানে আসেন দেড় ঘণ্টা পর।



মন্তব্য চালু নেই