একটু পড়লেই তো হয়, ছেলেদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী

ছেলে শিক্ষার্থীদের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীর সার্বিক পাসের হার বেশি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

ছেলে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, একটু পড়লেই তো হয়। ছেলেরা আরেকটু বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়লে তারা মেয়েদের সমান ফলাফল করতে পারবে।

বুধবার (১১ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবনে ফলাফলপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীএ কথা বলেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ প্রতিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এবার মেয়েদের পাসের হার বেশি। পরের বার যেন ছেলেদের পাসের হারও বাড়ে। অন্তত সমান-সমান যেন হয়।

ডিজিটাল এই বাংলাদেশে আগের মতো আর পরীক্ষার ফলাফল পেতে শিক্ষার্থীদের ছোটাছুটি করতে হয় না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখন ঘরে বসেই ফলাফল জানা যায়, কোথাও গিয়ে অপেক্ষা করে, পয়সা খরচ করে ফলাফল দেখতে হয় না।

সকাল ১০টার দিকে ২০১৬ সালের মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এবার ছেলে শিক্ষার্থীর তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীর পাসের হার বেশি। মেয়ে শিক্ষার্থীর সার্বিক পাসের হার ৮৮.৩৯%। আর ছেলে শিক্ষার্থীর সার্বিক পাসের হার ৮৮.২০%। অর্থাৎ ছেলে শিক্ষার্থীর চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীর পাসের হার ০.১৯ শতাংশ বেশি।

এবার সারাদেশে সার্বিক (এসএসসি, দাখিল, কারিগরিসহ) গড় পাসের হার ৮৮.২৯%, মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন। গতবছরের তুলনায় পাসের হার বেড়েছে ১.২৫ শতাংশ। সারাদেশে এসএসসিতে পাসের হার ৮৮.৭০ শতাংশ, মাদরাসা ৮৮.২২ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৩.১১ শতাংশ।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র। ৮ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী।

গত বছরের তুলনায় এবারের পরীক্ষায় বিজ্ঞানে ৫৬ হাজার ২৮৬ জন এবং মোট পৌনে দুই লাখ পরীক্ষার্থী বেশি অংশ নেয়। বিদেশে আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এ সব কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ৪০৪ জন। পরীক্ষা শুরু হয় ২ ফেব্রুয়ারি। তত্ত্বীয় বিষয় শেষ হয় ১০ মার্চ। ১৫-১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।



মন্তব্য চালু নেই