একটা ইলিশের দাম ১৪ হাজার টাকা

আসেন ভাই, বড় বড় ইলিশ নেন। ডিম ছাড়া বড় বড় ইলিশ। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক হালি বড় সাইজের ইলিশের দাম সাড়ে ৭ হাজার টাকা হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। শরিফুল ইসলাম নামে এক বিক্রেতা ৩ কেজি ওজনের এক ইলিশ ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

তিনি জানান, পাইকারের কাছ থেকে ওজন করে কিনেছেন। তার খাচায় বেশির ভাগ মাছ আড়াই কেজি ওজনের। তবে কম ওজনের ইলিশও রয়েছে। সেগুলো দুই কেজি নিচে নয় বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া আড়াই কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ হাজার টাকা।

ইলিশ কিনতে আসা বেসরকারি টেলিভিশন বৈশাখী টিভির এক সাংবাদিক জানান, খুলনায় মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি করতে দেখেছি। সেখানে দামও কম ছিল। ভাবলাম ফ্রিজে জায়গা কম খুলনা থেকে মাছ কিনে রাখবো কোথায়। কিন্তু এখন কারওয়ান বাজারে সে তুলনায় দাম একটু বেশিই মনে হচ্ছে। তার কারণ দাম সস্তা বলে সবাই ইলিশ কিনতে আসেছ।

কর্মজীবী আকবর হোসেন জানান, দাম কমে যাওয়াতে মাছ কিনতে এসেছি। বাজার ছাড়াও বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ভ্যানগাড়ি করে অনেককেই ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ফুটপাতেও বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা।

ঈদুল আজহা পরবর্তী সময়ে প্রতিবছরই ইলিশ কম দমে পাওয়া যায়। ইলিশের দাম সস্তা বলে বাজারে এখন ক্রেতার সংখ্যাও বেশি। কারওয়ান বাজার পাইকারী মাছের আড়ৎ ঘুরে দেখা গেছে, মাছ আমদানির তুলনায় দাম তেমন একটা কম নয়।

জানা গেছে, দেশের উপকূলীয় জেলা ভোলায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে এসব এলাকার নদ-নদী ও সাগর মোহনায় প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।

হাবিবুল্লাহ নামে এক শ্রমিক জানান, ভোলা থেকে ট্রাক বোঝাই করে ইলিশ আনা হয়েছে। সেখানে বড় সাইজের ইলিশের দাম ২৮শ টাকা থেকে ২৯শ টাকা। কিন্তু কারওয়ান বাজারে দাম হাকা হচ্ছে তার দিগুন।

আড়ৎদাররা জানান, এবার মৌসুমের প্রথম দিকে তেমন একটা ইলিশ না পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবরই সর্বোচ্চ ইলিশের আমদানি হচ্ছে। তাই পাইকারী বাজারে দামও অনেকটা কমে গেছে। কিন্তু খুচরা বাজারে দাম একটু বেশি।

এদিকে খুচরা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য মাছের তুলনায় ইলিশই বেশি। বিক্রেতারা বাজারে ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ক্রেতারা পছন্দের ইলিশ কিনতে এক দোকান থেকে ছুটছেন অন্য দোকানে। দাম কম হওয়াতে আনন্দ প্রকাশ করেছেন তারা।

অন্যদিকে নদীতে ব্যাপক ইলিশ ধরা পড়ায় বরফের চাহিদা বাড়ছে। ইলিশ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের জন্য বরফের কোন বিকল্প নেই। তাই বরফকলগুলোতেও ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। বরফকলগুলোর সামনে ইলিশ বোঝাই যানবাহনের লাইন দেখা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই