একই মঞ্চে যখন মুখোমুখি ধর্ষক-ধর্ষিতা (ভিডিওসহ)

ধর্ষক ও ধর্ষিতাকে মুখোমুখি বসানোর ব্যাপারটা আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে হয় না। কিন্তু একই মঞ্চে এসে একজন ধর্ষক ও ধর্ষিতা যে গল্প শোনালেন তা একদিকে যেমন হৃদয়বিদারক অন্যদিকে ততটাই ভালবাসায় মোড়া যে যা কোন ছবিকেও হার মানায়। থর্ডিস এলভা এবং টম স্ট্র্যাঙ্গারের দাম্পত্যের কাহিনীটা অনেকটা এ রকমই। সম্প্রতি একটি টেলিভিশনের শোয়ে এসে নিজেদের জীবনের গল্প শোনালেন অস্ট্রেলিয়ার এই দম্পতি।

টম এবং এলভার প্রথম পরিচয় স্কুলে। তখন তারা সহপাঠী ছিলেন। বড়দিনের ছুটিতে এক সন্ধ্যায় তাকে ডেটে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন টম। রোম্যান্টিক প্রস্তাবে না বলার কথা ভাবতেও পারেননি এলভা। কিন্তু একটি খামারবাড়িতে নিয়ে গিয়ে এলভাকে ধর্ষণ করে টম। মদ্যপান করে থাকায় ভাল করে প্রতিরোধও করতে পারেননি এলভা। অসম্মানের ভয়ে কাউকে কথাটা জানাতে পারেননি তিনি। নিজের ভিতরেই গুমরে গুমরে মরতে থাকেন স্কুল পড়ুয়া এলভা। সম্পর্কটাও ভেঙে যায় সে সময়। এক সময় তিনি বুঝতে পারেন, যতদিন না টম তার কাছে ক্ষমা চাইছে, ততদিন এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন না তিনি।

এরপর টমকে একটি চিঠি লেখেন এলভা। সেই চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘‌তুমি যে কত বড় অপরাধ করেছ, সেটা নিজেও বুঝতে পারছ না। একদিন ঠিকই বুঝবে, মহিলাদের শারীরিক নির্যাতন করাটা যে কত বড় অন্যায়, বড় হলে বুঝতে পারবে। ’‌

এরপর নিজের ভুল বুঝতে পারেন টম। অনুতপ্ত হয়ে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন এলভাকে। টিভি শোয়ে টম জানান, ‘‌সেই সময় আমার মনে হয়েছিল প্রেমিকার শরীরের ওপরে প্রেমিকের অধিকার থাকে। চাইলেই সেই শরীর অধিকার করা যায়। কেউ কখনও শেখায়নি যে এটা অন্যায়। এলভা বুঝিয়ে বলার পরে আমি প্রচণ্ড অনুতপ্ত হই। ঠিক করি, সারা জীবন ওকে ভালবেসে আমি এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করব। নিজেকে পুরোটা বদলে ফেলব। এখন আমরা দু’‌জনেই দু’‌জনকে খুব ভালবাসি। এলভা আমার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেনি, সেটার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। ’‌ ‌‌‌

https://youtu.be/duQcsx_MtiQ



মন্তব্য চালু নেই