এই বিখ্যাত বলিউড তারকারা একটা সময় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন

বলিউড মানেই গ্ল্যামার আর বিপুল অর্থের হাতছানি। প্রতি নিয়ত শত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ আর মুনাফা হয় সেখানে। যার বড় একটা অংশ পকেটে ঢোকে তারকাদের। তাঁদের কি আবার টাকাকড়ির অভাব হতে পারে? জানলে অবাক হবেন, তারকাদের রীতিমতো অর্থাভাবে কঠিন দুর্দশার উদাহরণও রয়েছে। বলিউডের বেশ কয়েক জন বড় তারকার দেনার দায়ে এমনই দশা হয়েছিল যে ব্যাঙ্ক তাঁদের দেউলিয়া পর্যন্ত ঘোষণা করেছিল! তাঁদের কেউ কেউ অবশ্য সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। এমনই কয়েক জন বি-টাউন তারকা সম্পর্কে জেনে নিন-

এ কে হাঙ্গাল:
এই অভিনেতা একটা সময় এতটাই আর্থিক সমস্যায় পড়েছিলেন যে তাঁর কাছে নিজের চিকিৎসার টাকাও ছিল না। পরিবারের পক্ষেও পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। হঠাৎ করে এই খবর কয়েকটি টিভি চ্যানেল প্রচার করে। এই খবর শোনার পর জয়া বচ্চন এবং সলমন খান তাঁকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করেন।

অমিতাভ বচ্চন:
তিনি বলিউডের শাহেনশা। কিন্তু একটা সময় অমিতাভ বচ্চনও গদিচ্যুত হয়েছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান ‘এবিসিএল’ ৯০ কোটি টাকার দেনার দায়ে দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছিল। সে সময় বিগ-বি’র একেবারেই সর্বস্বান্ত অবস্থা হয়েছিল। এতটাই খারাপ অবস্থা হয়েছিল যে নিজের বাড়িটি পর্যন্ত বন্ধক রাখতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু মোটেও আটকে যাননি অমিতাভ,
‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ দিয়ে দুর্দান্ত কামব্যাক করেন।

গোবিন্দ:
বলিউডের এই জনপ্রিয় নায়কের নাকি মাঝে আর্থিক ভাবে খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল। এই সময় প্রচুর দেনাও হয়েছিল তাঁর। ফের ত্রাণকর্তা সলমন। ‘পার্টনার’ ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেন গোবিন্দ। আর ছবিটির দারুণ সাফল্য গোবিন্দকে উদ্ধার করে এই দুর্দশা থেকে।

জ্যাকি শ্রফ:
একটা সময় হাতে কোনও কাজই ছিল না এই অভিনেতার হাতে। নিজের প্রোডাকশন হাউজ লোকসানে ডুবে যাচ্ছিল। ২০০৮ সালে তাঁর আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার থেকে বেশ বড় অঙ্কের টাকা ধার করেন। কিন্তু সেটি শোধও করতে পারছিলেন না। এখানেও সলমন খান এসে উদ্ধার করেন জ্যাকিকে।

প্রীতি জিন্টা:
যখন হাতে কাজের অফার খুব কম তখন নিজের ক্রিকেট দল নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন প্রীতি। সেই সময় নিজের প্রোডাকশন হাউস থেকে ‘ইশক ইন প্যারিস’ নির্মাণ করে ভয়াবহ ভাবে ব্যর্থ হন প্রীতি। দেনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। ছবির চিত্রনাট্যকার আব্বাস টায়ারওয়ালাও প্রীতির বিরুদ্ধে নালিশ ঠোকর হুমকি দেন। সলমন খানের সহায়তায় এই বিপদ থেকে রক্ষা পান প্রীতি।

শ্বেতা বসু প্রসাদ:
‘ইকবাল’ বা ‘মাকড়ি’র মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবির অভিনেত্রী তিনি। টেলিভিশন শোতেও পরিচিত মুখ ছিলেন। মধুচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে হায়দরাবাদ থেকে ধরা পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। জানা যায়, পরিবারের অভাব-অনটন মেটাতেই নাকি এই পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। এখন তিনি হিন্দি ধারাবাহিক ‘চন্দ্র নন্দিনী’র প্রধান অভিনেত্রী।

অনুপম খের:
তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, অর্থাভাবের কারণেই নাকি তিনি অভিনয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘দি অ্যাক্টর প্রিপেয়ারস’ চালু করেন মাত্র ১২ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে। এখন প্রতিষ্ঠানটি দেশের সেরা অভিনয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির একটি।

অভয় দেওল:
ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যায়, এই অভিনেতা নাকি ভীষণ কৃপণ। কিন্তু এর পিছনেও রয়েছে বিরাট কাহিনী। অভয়ের নিজস্ব প্রোডাকশনের ছবি ‘ওয়ান বাই টু’ বক্স অফিসে মারাত্মক ভাবে ফ্লপ হয়েছিল। আর এর জেরে তিনি প্রবল অনটনের সম্মুখীন হয়েছিলেন। বাজারে প্রচুর দেনাও হয়েছিল তাঁর। এমনকী নিজের বাড়ি বিক্রি করে ধার শোধ করেছিলেন অভয়।



মন্তব্য চালু নেই