এই কাজটি করলেই এবার আপনাকে সরিয়ে দেবে ফেসবুক!

বাকস্বাধীনতার নিশান উড়িয়ে তরুণ প্রজন্মের প্রথম পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে ফেসবুক। আর শুধু তরুণ প্রজন্মই নয়, প্রৌঢ়রাই বা কম যান কোথায়! ৫০ বছরের অনেকে কলেজজীবনের ছবি প্রোফাইল পিকচার দিয়ে সমানে ফেসবুকিং করে যাচ্ছে। এককালে যা ছিল দেওয়াললিখনের ঐতিহ্য, আজ তাই-ই আটকা পড়েছে ফেসবুক ওয়ালে। তর্ক-বিতর্ক-আড্ডার উত্তরাধিকারের জায়গাই হয়ে উঠেছে এই ভার্চুয়াল দুনিয়া। তাই মন খুলে সকলেই এখানে মতামত জানান। কিন্তু সাবধান! এবার থেকে আপত্তিকর বা অশ্লীল মন্তব্য এলেই আপনাকে চিরকালের জন্য সরিয়ে দেবে ফেসবুক।

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার নিরিখেই এই সিদ্ধান্ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষর। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ক্রমাগত ঘটে চলেছে বিভিন্ন আপত্তিকর ঘটনা। মার্কিন মুলুকের মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পরও উঠেছিল রসিকতার ঝড়। সারা বিশ্বের অনেকেই তা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা হয়েছে। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে সে রসিকতা মাত্রা ছাড়িয়েছে। একই ঘটনা ভারতের নরেন্দ্র মোদি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। সম্প্রতি আদিত্যনাথকে নিয়ে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে গ্রেফতার হয়েছে এক যুবক। বাংলাদেশেও গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে একই কারণে। এর পাশাপাশি মাথাচাড়া দিয়েছে ট্রোল কালচার। এককালে কার্টুনে যে বুদ্ধিমত্তার ছাপ থাকত, এখানে তার লেশমাত্র নেই। বরং ব্যঙ্গের দোহাই দিয়ে অনেক সময়ই তা শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে যায়। এমনকী নারীদের ঋতুকাল নিয়ে ঠাট্টা করতেও বাধেনি অনেকের। খোলামেলা ছবি পোস্ট করে হামেশাই হেনস্তার শিকার হচ্ছেন অভিনেত্রীরা। এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতেই এবার কঠোর হচ্ছে ফেসবুক।

জানা গেছে, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার দিকটি বজায় রাখতেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নতুন একটি প্রস্তাব এনেছে। যেখানে, অশ্লীল ও আপত্তিকর মন্তব্যকারীকে চিরকালের জন্য সরিয়ে দেওয়া হবে ফেসবুক থেকে। এতদিন অন্যের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নিত ফেসবুক। তবে এবার এ পদক্ষেপ সরাসরি সংস্থার পক্ষ থেকে নেওয়া হবে। নয়া অ্যালগোরিদমে যে মোবাইল থেকে আপত্তিকর মন্তব্যটি এসেছে সেই মোবাইল নম্বরটি ট্র্যাক করা হবে। এর পর যোগাযোগ করা হবে ওই টেলিকম সংস্থার সঙ্গে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের অনুরোধে টেলিকম সংস্থাটিই ওই ব্যবহারকারীকে ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ করবে। একই কাজ করা হবে ডেস্কটপের ক্ষেত্রেও। সেক্ষেত্রে আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে খুঁজে বের করা হবে ব্যবহারকারীকে। অর্থাৎ, কোনওভাবেই অশ্লীল মন্তব্যকারী পুনরায় ফেসবুকে প্রবেশ করতে পারবেন না। রাজনৈতিক ব্যক্তি বা কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সম্পর্কে করা মন্তব্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। তবে প্রথমেই এতটা কঠোর হবে না ফেসবুক। ব্যবহারকারীকে একবার সতর্ক করা হবে। মেইল ও ফেসবুক মেসেজে আসবে এই বার্তা। তারপরও নিয়ম না মানলে নেওয়া হবে এই পদক্ষেপ।

তবে যেদিন ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেওয়ার এই ঘোষণাটি হল, সেদিনের তারিখটার দিকেই দেখুন। সারা দুনিয়ায় এই একটাই দিন রেখে দেওয়া আছে নিছক মজা করার জন্য। সরাসরি বললে, মিথ্যা বলে মানুষের সঙ্গে মজা নেওয়ার জন্য। দিনটা ১ এপ্রিল। যে দিনটাকে অনেকে ‘এপ্রিল ফুল’ হিসেবে পালন করে থাকে। তবে দিনটাকে নিয়ে অনেক সমালোচনাও রয়েছে। প্রতারণার প্রতীক হিসেবেও দিনটাকে দেখা হয়।



মন্তব্য চালু নেই