সিরাজগঞ্জ এর কিছূ খবর

উল্লাপাড়ায় রেলপথে : পুলিশের গুলি

শনিবার রাত ৯ টার দিকে ঈশ্বরদী- ঢাকা রেলপথে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মন্ডলজানি গ্রামের পাশে ৩২নং সেতুর কাছে অবরোধকারীরা শ্লিপারের উপর আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ওই পথে পাহারারত আনসার ও গ্রাম পুলিশ দ্রুত ঘটনাটি উল্লাপাড়া স্টেশন মাষ্টারকে অবহিত করে।

খবর পেয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামীম আলম পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে ৫ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি পেট্রোলের বোতল, পাটকাঠি, কাঠ ও সুতা জাতীয় বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করে।

উল্লাপাড়া স্টেশন মাষ্টার খান মনিরুজ্জামান জানান- ঘটনাস্থলটি উল্লাপাড়া স্টেশন থেকে ২ কিলোমিটার দূরে। ঘটনার সময় ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস উল্লাপাড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। আগুন নেভানোর পর ট্রেনটি এর গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল হুদা জানান- উল্লিখিত পদ্মা এক্সপ্রেসকে কেন্দ্র করেই অবরোধকারীরা ঘটনাস্থলে নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছিল বলে পুলিশের ধারণা। এই পথে নিরাপত্তা বিধানে অতিরিক্ত পুলিশ
মোতায়েন করা হয়েছে।

 

সিরাজগঞ্জে ৫টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা থেকে ৫টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এসময় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

রোববার (১৮ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কোনাগাঁতী এলাকা থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সকালে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বাজারের ব্যাগে অভিনব কায়দায় পেট্রোল বোমা নিয়ে কোনাগাঁতী বাজারে অবস্থান করছিলো।

খবর পেয়ে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে জামায়াতের নেতাকর্মীরা বাজারের ব্যাগটি রেখে পালিয়ে যায়। পরে ব্যাগের ভেতর থেকে ৫টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়।

সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।

দু’সপ্তাহের টানা অবরোধ :
উল্লাপাড়ায় পানির দামে ফেরি করে দুধ বিক্রি করছেন খামারিরা
টানা দু’সপ্তাহের অবরোধ ও হরতালের কারণে উল্লাপাড়ার লাহিড়ীমোহনপুর মিল্ক ভিটা ঢাকায় নিয়মিত দুধ পাঠাতে না পারায় উল্লাপাড়ার খামারিরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। প্রতিদিন  ২০ থেকে ২৫ টাকা লিটার দরে তারা গ্রামে গ্রামে ফেরি করে দুধ বিক্রি করছেন। উল্লাপাড়ার ১১৪টি প্রাথমিক দুধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির আওতায় ৩ হাজারেরও বেশি ছোট-বড় খামারি রয়েছেন। গড়ে এসব খামারির দুধ উৎপাদনের পরিমাণ প্রতিদিন প্রায় ১৬ হাজার লিটার।

উল্লাপাড়ার খামারিরা জানান- লাহিড়ীমোহনপুর মিল্ক ভিটা প্রতিদিন দুই বেলা মিলে ১০ হাজার লিটার দুধ কিনে থাকে। এছাড়া বেসরকারি  প্রাণ, আকিজ, আড়ং, ব্র্যাক, ফ্রেশ কোম্পানি সহ কয়েকটি কোম্পানি প্রতিদিন নূন্যতম ৫ হাজার লিটার দুধ কিনে আসছে। কিন্তু অবরোধের কারণে লাহিড়ীমোহনপুর মিল্ক ভিটা ঢাকায় দুধ নিয়মিত পাঠাতে না পারায় এবং উল্লিখিত কোম্পানি  গুলোর গাড়ি উল্লাপাড়ায় না আসতে পারায় দুধ নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খামারিরা।

উপজেলার কয়ড়া সড়াতৈল গ্রামের খামারি হোসেন আলী, মোয়াজ্জেম হোসেন ও হাসান আলী জানান- গড়ে প্রতিদিন তাদের ৬০ থেকে ৭০ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। মিল্ক ভিটায় এই দুধ ফ্যাট অনুসারে তারা ৪৪ টাকা থেকে ৪৮ টাকা লিটার দরে বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু মিল্ক ভিটা দুধ কেনার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ায় প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার লোকসান গুণতে হচ্ছে খামারিদের।

এ ব্যাপারে লাহিড়ীমোহনপুর মিল্ক ভিটার ভারপ্রাপ্ত উপ-ব্যবস্থাপক ডা. নজরুল ইসলাম খামারিদের ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন- ঢাকায় নিয়মিত দুধ পাঠাতে না পারায় তারা প্রতিদিন শুধু বিকেল বেলা ৫ হাজার লিটার দুধ কিনছেন। তিনি আরো জানান- ২/৩ দিন পর পর পুলিশ পাহারায় তাদের ক্রয়কৃত দুধ ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। অবরোধের কারণে ঢাকা থেকে ঠিকমত গাড়ি আসতে না পারায় প্রতিদিন স্বাভাবিক নিয়মে তারা দুধ কিনতে পারছেন না।



মন্তব্য চালু নেই