উপকূলে তুমুল বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া, বেকায়দায় পর্যটকরা

উপকূল অঞ্চলে তুমুল বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রাও কমে এসেছে। এ অবস্থায় বেকায়দা পড়েছেন পর্যটকরা। স্থানীয়রা বলছেন, এমন টানা বৃষ্টি এ বছর আর হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপে বেড়াতে এসেছেন অনেক ভ্রমণপিপাসু। প্রতি বছর এই সময় থেকে শীতকালের শেষ সময় পর্যন্ত পর্যটকরা এসে থাকেন।

‌স্থানীয় আবাসিক হোটেল ‌‌‌‌`শাহিন হোটেল` এর কেয়ারটেকার তুহিন বলেন, আজ যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, এ বছরে এটা সর্বোচ্চ বলতে পারেন। আমার হোটেলের সব সিট বুকিং হয়ে গেছে, কিন্তু সবাই রুমেই বসে আছেন। এখন খাবারও হোটেল থেকে এনে দিতে হচ্ছে।

ঢাকা থেকে আশরাফুল ইসলাম নামে একজন চাকরিজীবী ছুটি পেয়ে এ দ্বীপে বেড়াতে এসেছেন। সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়ানোর আশায় নিজস্ব মোটরসাইকেল সঙ্গে করে এনেছেন। উঠেছেন স্থানীয় শাহীন হোটেলে। কিন্তু এ আবহাওয়ায় রুমে বসে বসে সময় পার করছেন।

আশরাফুল বলেন, আগেই রুম বুকিং দেয়া ছিল। বৃষ্টির কারণে আসার পথে ব্যাপক ভোগান্তি হয়েছে। তারপর ভালো একটা সময় কাটাবো বলে চলে আসলাম। সঙ্গে বাইক এনেছি, অনেক প্লান ছিল, কিন্তু তার কোনোটায় হয়তো বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। কয়দিন এই অবস্থা থাকে কে জানে।

দ্বীপটির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত নামার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে স্থানীয় লোকজনের সমাগম কম। মঙ্গলবার থেকে নদীতে জাল ফেলা নিষিদ্ধ হওয়ার বাজার বিকেল থেকে জমজমাট হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যেক বছর তেমটাই হয় বলে বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান।

এ প্রসঙ্গে হোটেল দ্বীপ সম্পদের মালিক সৈয়দ হোসেন বলেন, বছরের এই সময়টাতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হয়। এ মৌসুমে বৃষ্টি স্বাভাবিক, কিন্তু মুষলধারে টানা বৃষ্টি হওয়ায় মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। একই সঙ্গে বাতাসের বেগও বেশি।

তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এ নিয়ে খুব একটা আতঙ্কিত নয়। কারণ এটা তাদের জন্য নিত্যবিষয়।

মাছ ব্যবসায়ী আসাদ বলেন, আবহাওয়া বিভাগের ৪-৫ মাত্রার সতর্ক সংকেত আমাদের জন্য কোনো বিষয়ই না। আরো উপরে উঠলে সেটা নিয়ে একটু সাবধান হই আমরা। তার উপর দরিয়াতে এখন আর ট্রলার যাবে না। এ জন্য সবাই বাসায় বসে সময় পার করছে।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই