উদ্বেগে আক্রান্ত পুরুষদের ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি
৪০ বছরের বেশি বয়সী যেসব পুরুষ উদ্বেগজনিত মানসিক বিশৃঙ্খলায় আক্রান্ত তাদের ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকি দ্বিগুন; যাদের কোনো মানসিক সমস্যা নেই তাদের তুলনায়। এমনটাই দেখা গেছে নতুন এক গবেষণায়।
কিন্তু নারীদের বেলায় এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। যে নারীরা তীব্র উদ্বেগজনিত মানসিক বিশৃঙ্খলায় ভুগছেন তাদের মধ্যে ক্যান্সারের ফলে মৃত্যুর অতিরিক্ত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয় না।
মঙ্গলবার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে ইউরোপীয়ান কলেজ অফ নিউরোসাইকোফার্মাকোলজির সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। মানসিক উদ্বেগ এবং ক্যান্সারের মধ্যে কোনো সংযোগ রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতেই এ যাবৎকালের সবচেয়ে বৃহৎ ওই গবেষণাটি চালানো হয়। এতে ৪০ এর বেশি বয়সী ১৫ হাজার ৯৩৮জন ব্রিটিশ নাগরিকের ওপর ১৫ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ চালানো হয়।
এতে দেখা যায়, যে পুরুষরা সাধারণীকৃত উদ্বেগজনিত মানসিক বিশৃঙ্খলায় আক্রান্ত ক্যান্সারে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ২.১৫ গুন বেশি।
সাধারণীকৃত উদ্বেগজনিত মানসিক বিশৃঙ্খলা মূলত জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে অতিরিক্ত এবং অনিয়ন্ত্রিত উদ্বেগ থেকে সৃষ্টি হয়। আর এ ধরনের সমস্যা নারীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।
নতুন ওই গবেষণায় ক্যান্সার এবং উদ্বেগের সম্পর্ক উদঘাটন কর হয়নি বা এমনটাও দেখানো হয়নি যে, উদ্বেগের কারণে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। আসলে উদ্বেগজনিত মানসিক বিশৃঙ্খলায় আক্রান্ত পুরুষরা ক্যান্সারের ঝুঁকি সৃষ্টি করে এমন তৎপরতায় লিপ্ত হন বেশি।
ওই গবেষণায় চরমমাত্রায় উদ্বেগজনিত মানসিক বিশৃঙ্খলায় আক্রান্ত পুরুষদের মানসিক এবং দৈহিক স্বাস্থ্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা উচিৎ বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক অলিভিয়া রিমস বলেন, “সমাজের উচিৎ উদ্বেগকে দূর্বল স্বাস্থ্যের সতর্কতা সঙ্কেত হিসেবে বিবেচনা করা।”
তিনি বলেন, এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা দেখাতে চেয়েছি যে, উদ্বেগজনিত মানসিক বিশৃঙ্খলা শুধু বিশেষ কোনো ব্যক্তিত্ব বৈশিষ্ট নয়। বরং এটি বাস্তব এবং গুরুতর কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
ইম্পেরিয়াল কলেজের মনোচিকিৎসক ডেভিড নাট বলেন, উদ্বেগজনিত মানসিক বিশৃঙ্খলায় আক্রান্তদের যারা তীব্র মর্মপীড়ায় ভোগেন তাদের এই মর্মপীড়ার উৎপত্তি হয় মূলত নিদ্রাহীনতা এবং বহুলবিস্তৃত শারীরিক ধকল থেকে। সূত্র: লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস
মন্তব্য চালু নেই