উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রশ্ন কঠিন করেছে ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগে মাত্র দুজন শিক্ষার্থীর ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের ঘটনাকে উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
রোববার সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন দাবি করেন।
এসময় মন্ত্রী জানান, আগামী বছর থেকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে।
মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে ঢাবিতে ১ লাখ ৬৬ হাজার ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে সেখানে ইংরেজিতে মাত্র ২ জন চাঞ্চ পেল। ফেল করানোর উদ্দেশ্যেই এটা করা হয়েছে। ঢাবিতে যদি ২ জনকে নিয়ে ক্লাশ নিতে পারে তাহলে নিক। এটাই যদি তাদের নৈতিকতা হয় তাহলে করতে পারে।’
তিনি বনে, ‘এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট নিয়ে গেলে হার্ভার্ডসহ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করতে পারে। এখন ঢাবির কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়তে পারবে না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন করা হয়েছে।’
‘কতিপয় শিক্ষক দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই জটিল প্রশ্ন করেছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আশা করি শিক্ষকরা দায়িত্বশীল হবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মানের কোনো শেষ নেই। মান রাতারাতি অর্জিত হবে না। এক্ষেত্রে নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার প্রয়োজন নেই।’
‘এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানো যেতে পারে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা বলছেন শিক্ষার মান কমেছে তারা প্রমাণ দিচ্ছেন না।’
নাহিদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে মাত্র ২ জন ভর্তি হতে পারবে। এর মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ সর্বনাশ হচ্ছে।’
অধ্যাপক জাফর ইকবালের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কোচিং ব্যবস্থায় ঢাবির শিক্ষকরা জড়িত। প্রতিবছর ৩২ হাজার কোটি টাকার কোচিং বাণিজ্য হয়।’
মন্তব্য চালু নেই