উত্তরা ব্যাংকের তিন কোটি টাকা উধাও, তদন্তে দুদক
উত্তরা ব্যাংকের নারায়ণঞ্জ শাখা থেকে তিন কোটি টাকা উধাও হওয়ার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
উত্তরা ব্যাংকের নিতাইগঞ্জ শাখা থেকে টাকা উধাও হওয়ার ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৬ মে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নারায়নগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় নারায়নগঞ্জ শাখার প্রধান ক্যাশ অফিসার মো. মোক্তার আলীকে আসামি করা হয়।
আর মামলাটি তদন্ত করার জন্য দুদকের কাছে পাঠালে সংস্থাটি সম্প্রতি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। চলতি বছরের ২১ মে মামলাটি দুদকের কাছে পাঠানো হয়। দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, সাধারণত যে কোনো ব্যাংকের শাখায় অতিরিক্ত টাকা জমা হলে নিরাপত্তার স্বার্থে অর্থের একটি বড় অংশ সংশ্লিষ্ট শহরের প্রধান শাখায় জমা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তরা ব্যাংকের নিতাইগঞ্জ শাখায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা জমা হওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রায়ই ওই টাকা নারায়ণগঞ্জ শাখায় পাঠিয়ে দিত। ওই প্রক্রিয়ায় ২০১৪ সালের বিভিন্ন সময়ে চার থেকে পাঁচবারে নিতাইগঞ্জ শাখা কর্তৃপক্ষ তিন কোটি টাকা নারায়ণগঞ্জ প্রধান শাখায় পাঠায়। শাখার প্রধান ক্যাশ অফিসার মো. মোক্তার আলী টাকা গ্রহণও করেছেন এমন প্রমাণ রয়েছে। অথচ তিনি অস্বীকার করেন ওই টাকা তিনি গ্রহণ করেননি। তাই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করছেন ক্যাশ অফিসার মো. মোক্তার আলীসহ একটি চক্র ওই টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাত করে।
দুদক সূত্র আরো জানায়, এই কারণে ২০১৪ সালের ১৬ মে ব্যাংকটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. খায়রুল আলম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় মোক্তার আলীকে আসামি করে মামলা করেন। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলার কোনো সুরাহা করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত এর তদন্তভার দুদককে প্রদান করে।
নারায়ণগঞ্জ প্রধান শাখার ক্যাশ অফিসার মোক্তার আলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক।
দুদকের উপপরিচালক মো. আবদুস সোবহান মামলাটি তদন্ত করছেন।
মন্তব্য চালু নেই