উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীকে কবিতা শুনালেন প্রতিমন্ত্রী
পিতার সময় সীমান্ত চুক্তি আর কন্যার সময় তা বাস্তবায়ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও খুশি। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধাতি আলোচনায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি ভারতের লোকসভায় অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নিজের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, ‘সীমান্ত চুক্তির কারণে আমি খুবেই খুশি।’
মন্ত্রিসভার অনির্ধাতি আলোচনার শুরুতেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। পরে মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান একটি স্বরচিত কবিতাও পাঠ করেন। কবিতায় তিনি বলেন-
‘শুরুটা পিতার করা
কন্যা করেছে শেষ
সার্থক হোক সীমান্ত চুক্তি
ভারত-বাংলাদেশ।
ছিটমহলের মানুষের মাঝে
বইছে আনন্দ বন্যা
অভিনন্দন দীর্ঘায়ু হে বঙ্গবন্ধু কন্যা।’
উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত চুক্তি সম্পর্কে বলেন, ‘না বুঝেই বিএনপি বলেছিল- ইন্দিরা-মুজিব গোলামী চুক্তি। কিন্তু আজ সেই চুক্তির আলোকেই সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হলো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত সম্পর্ক হওয়ার কারণেই এ চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। এমনিক বাংলাদেশ-নেপাল ট্রানজিট চুক্তিটাও হয়েছে বাংলাদেশের কারণেই।’ ছিটমহলবাসীর নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের কারণে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরায় গিয়ে সে রাজ্যের সরকার ও পার্লামেন্টকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য মন্ত্রিসভার কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্যের একটি টিম পাঠানোর জন্যও প্রস্তাব করা হয় এ বৈঠকে।
মন্তব্য চালু নেই