উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজে চারু ও কারু কলা
সমাজে ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে চারু ও কারু কলা এখন আর সৌখিনতার বৃত্তে আবদ্ধ নেই। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ তাই এটিকে একটি পেশা ভিত্তিক শিক্ষা হিসেবে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছে।
অথচ পরিতাপের বিষয় আমলা তান্ত্রিক ঔদাসীন্যের কারণে চারু ও কারু কলা বিষয়টি এখন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সবচেয়ে অবহেলিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যেখানে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সোনার বাংলাদেশকে যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থায় এগিয়ে নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ঠিক এমন সময় রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের চারু ও কারু কলা প্রভাষক বলেন- ‘২০১১ তে নিয়োগ পেয়েও চারু ও কারু কলা বিষয়ে বিগত বছরে সর্বোচ্চ ফলাফলের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানসহ এই সৃষ্টিশীল বিষয়টির এম.পি,ও ভুক্তির জন্য শিক্ষাভবন ও মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রীক জটিলতায় ভুগছি, এমন এম,পি,ও ভুক্তির অসাহায়ত্ব থেকে নিরসনের জন্য প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি হয়তবা বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতায় নিয়োজিত চারু ও কারু কলা শিক্ষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ্য সন্তানদের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়ার সুযোগ প্রসন্ন হবে বলে আমার বিশ্বাস’।
‘বর্তমান শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চারু ও কারু কলা বিষয়টি আবশ্যিক। এর জন্য বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হচ্ছে। অথচ দেশের প্রায় সকল সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ও কলেজে একজন করে চারু ও কারু কলা বিষয়ে পদ করে এম,পি,ও চালু এবং শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি এম,পি,ও ভূক্ত কলেজ গুলোতে চারু ও কারু কলা বিষয়টি দেশের প্রায় সব বোর্ডের অধীনে চারু ও কারু কলা শিক্ষক নিয়োগ এবং পাঠ দান হয়ে আসছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারু কলায় (এম.এফ.এ) পড়া শিক্ষকরা।
জানা যায়, এমন বিষয়টি ইতি মধ্যে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয় এমন একটি পরিপত্র প্রণয়ন করেছেন শিক্ষা মন্ত্রাণলয় অথচ এ সকলশিক্ষকদের এম.পি.ও ভুক্তি/বিল-বেতনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাভবনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেক কলেজ শিক্ষক।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বোর্ড কর্তৃক পাঠ্য পুস্তক ও সিলেবাস রয়েছে। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের এই সুষ্টিশীল বিষয়টি হাতে কলমে শেখার প্রবণতা দেখা গেছে। জাতীয় শিক্ষা নীতিতে এর গুরুত্ব উল্লেখ করে লেখা হয়েছে- “একটি সংস্কৃতি বান, সুরুচি সম্পন্ন, ঐতিহ্য সচেতন সু-শৃঙ্খল জাতি ও নাগরিক গোষ্ঠি সৃষ্টির জন্য চারু ও কারু কলা সুকুমার বৃত্তি শিক্ষাদান অত্যন্ত জরুরি”।
বর্তমান বিশ্বপেক্ষা পটে এসব পেশা ভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব ও ক্ষেত্র দুটোই রয়েছে। চারু ও কারু কলা এই সৃষ্টিশীল বিষয়ে পড়া লেখা করে সরকারি ও বেসরকারি প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকুররীর সুযোগ সৃষ্টি হয়ে আসছে।
সকল বেসরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে (চারু ও কারু কলা- ২২৫, ২২৬) শিক্ষকদের এম,পি,ও ভুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সু-দৃষ্টি দেওয়া একান্ত জরুরি। কারণ চারু ও কারু কলার দেশের প্রায় কলেজের শিক্ষকগণ সরকারি এম,পি,ও ভুক্তি হওয়ার অপেক্ষায় শিক্ষা ভবনে আবেদন পত্র সহ কাগজ পত্রাদী জমা করেছেন এবং অপেক্ষায় দিন গুনছেন। সংশ্লিষ্ট পদটি যেন এম,পি,ও ভুক্ত হয়। ইতো মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩, অধ্যাপক ইয়াসিন আলী (এমপি) চারু ও কারু কলার এম.পি.ও ভুক্তির বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৬ নভেম্বর ২০১৩ খ্রিঃ একটি পরিপত্রে চারু ও কারু কলা বিষয়টি এম.পি.ও ভুক্তি হবে এবং নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয় এমনটি সংশোধিত হলেও শুধুমাত্র দেশের আর্ট কলেজ/চারু কলা মহাবিদ্যালয় শিক্ষকদের এম.পি.ও দেওয়ার বিষয়টি গরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সাধারণ বেসরকারি কলেজের চারু কলা শিক্ষকদের হতাশা ও দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে এমনটি দেখার কেউ নেই! খোভ প্রকাশ করে বলেন- রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের চারু ও কারু কলার প্রভাষক। এর একটি সংশোধনী আনা একান্ত বাঞ্ছনীয় এবং যুগের দাবি।
মন্তব্য চালু নেই