উচ্চশিক্ষার মান যাচাইয়ে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন চূড়ান্ত

দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে ‘অ্যাক্রেডিটেশন (স্বীকৃত) কাউন্সিল আইন’ ২০১৬-এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

১৩ সদস্যের এই কাউন্সিলে নেতৃত্ব দেবেন সরকার নিযুক্ত একজন চেয়ারম্যান। অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সনদ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান উচ্চশিক্ষার সনদ প্রদান, স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না।

কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভুল তথ্য দিলে বা কোনো তথ্য গোপন করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল হবে।

বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণে এবং বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে এটা যুগান্তকারী আইন।

কাউন্সিলের মূল দায়িত্ব হবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা, শিক্ষাকার্যক্রম যাচাই করে স্বীকৃতি দেওয়া। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি বিভাগ, কোর্স বা প্রোগ্রামের (ডিসিপ্লিন) জন্য পৃথক কমিটি গঠন করে এ সম্পর্কে যাচাই করবে কাউন্সিল। এরপর ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘অ্যাক্রেডিটেশন ও কনফিডেন্স’ সনদ দেওয়া হবে। এই সনদের একটি নির্ধারিত মেয়াদ থাকবে। সনদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনে দিতে হবে।

এই কাউন্সিল যৌক্তিক কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা এর অধীন কোনো ডিগ্রি প্রোগ্রামের ‘অ্যাক্রেডিটেশন ও কনফিডেন্স’ সনদ বাতিলও করবে।

শফিউল আলম বলেন, চেয়ারম্যান ও ১২ জন সদস্য নিয়ে এই কাউন্সিল গঠিত হবে। গুণগত মান ও স্বীকৃতির বিষয়ে বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন ও প্রশাসনিক কাজে অভিজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কমপক্ষে ২৫ বছরের শিক্ষকতা (এর মধ্যে কমপক্ষে ১০ বছর অধ্যাপক) ও উচ্চশিক্ষার প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন অধ্যাপক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হবেন।

সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক পদমর্যাদার চারজন শিক্ষাবিদ পূর্ণকালীন সদস্য ও ছয়জন খণ্ডকালীন সদস্য থাকবেন। খণ্ডকালীন সদস্যদের মধ্যে থাকবেন ইউজিসির একজন সদস্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিবের নিচে নয়), অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি বা তার মনোনীত ওই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য, কাউন্সিলের মনোনীত বিদেশি কোনো অ্যাক্রেডিটেশন সংস্থার একজন বিশেষজ্ঞ, পেশাজীবী সংস্থার একজন প্রতিনিধি এবং সরকার মনোনীত ফেডারেশন অব চেম্বারের একজন শিল্প উদ্যোক্তা।



মন্তব্য চালু নেই