কক্সবাজারের উখিয়ার কিছু খবর

উখিয়া কলেজ মাঠে শিক্ষার্থীদের গলার কাটা বৈদ্যুতিক খুঁটি, দূর্ঘটনার আশংকা

কক্সবাজারের উখিয়া কলেজ মাঠের মধ্যমনিতে অপরিকল্পিত বৈদ্যুতিক খুঁটি ছাত্রছাত্রীদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ খুঁটির জন্য কলেজ ছাত্রছাত্রীরা খেলাধুলা করতে পারছেনা বিধায় যেকোন সময়ে খেলার উপকরণ সামগ্রী ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারের সাথে সংঘর্ষ হয়ে মারাতœক দূর্ঘটনার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এনিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে। একাধিক ছাত্র জানায়, খেলাধুলায় বাধাঁগ্রস্থ এ বৈদ্যুতিক খুঁটি কেটে বা ভেঙ্গে ফেলে দূর্ঘটনার সৃষ্টি হলে তার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। যেহেতু ওই অপরিকল্পিত বৈদ্যুতিক খুঁটিটি সরিয়ে ফেলার জন্য একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি খেলার মাঠ থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে ফেলার নিদের্শ দিলেও কাজ হয়নি। কলেজের অধ্যক্ষ এম. ফজলুল করিম জানান, বিদ্যুতের খুঁটি অন্যত্রে সরিয়ে ফেলার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দাবী করে। জানতে চাওয়া হলে উখিয়া পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম নূর হোসেন জানান, এব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট একটি ডিমান্ড নোট পাঠানো হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যাটি সামাধান করা হবে।
পুলিশের সোর্স জসিম হত্যা মামলার আসামী আটক
কক্সবাজারের উখিয়া থানা পুলিশের সোর্স জসিম হত্যা মামলার প্রধান আসামী পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শুক্কুর মেম্বার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১ টার দিকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করতে গেলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী পুড়িবনিয়া এলাকার হাজী জালাল আহমদের ছেলে জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছিল। এ সুবাদে এলাকার সন্ত্রাসী, দাগী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাথে বেশ কয়েকটি গ্রেপ্তার অভিযানে যান। এ কারণে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের রোষানলে পড়ে জসিম উদ্দিন। ২০১২ সালের ২২ মার্চ থাইংখালী ষ্টেশন থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে জসিম উদ্দিনের বাড়ির সম্মুখস্থ স্থানে গতিরোধ করে তাকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা পরিকল্পিত ভাবে ধারালো কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় জসিমের পিতা হাজী জালাল আহমদ বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন থানায়। যার মামলা নং জিআর ৩৯/২০১২।
এ মামলার অপরাপর আসামীরা ইতিপূর্বে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আসেন। উচ্চ আদালতের জামিন আদেশের সময় সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় গতকাল সোমবার নিু আদালতে আতœসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
কাঠভর্তি ট্রাক আটক
Ukhiya Pic- 16-02-2015-1কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে সামাজিক বনায়নের সৃজিত আকাশমনি গাছ কর্তনের পাশা-পাশি পাচারের মহোৎসব চলছে। নামে মাত্র বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে চালাচ্ছে এ কাঠ পাচার বানিজ্য। পাচারের জন্য মজুদ করে রাখা অর্ধশতাধিক আকাশমনি গাছের টুকরা ও স্তুপ লক্ষ্য করে দেখা গেছে, অপরিমিত বয়সেই সামাজিক বনায়নের সৃজিত এসব বাগানের গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলে তা আবার ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে এক শ্রেণীর অসাধু কাঠচোর সন্ত্রাসী। বন বিভাগের কথিত ডি-ফরমের অনুকুলে চালাচ্ছে নিলামে অংশ গ্রহণকারী পাচারকারীরা। সম্প্রতি উপজেলার থাইংখালী, পালংখালী, ইনানী, জালিয়াপালং, উখিয়া সদর সহ ও বালুখালীর বিভিন্ন স্থানে সামাজিক বনায়নের আকাশ মনি গাছ গুলো বনদস্যুরা উপযুক্ত বয়স হওয়ার আগেই কেটে ফেলা হচ্ছে। অনেক সময় সরকারী কাগজ পত্রের নিয়মের বাইরেও কাঠ পাচারকারীরা আকাশমনি কাঠের আদলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পাচারেরও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল ও জালিয়াপালংয়ের পাইন্যাশিয়াস্থ সীমানায় সৃজিত আকাশমনি বাগানের গাছ স্থানীয় গুটি কয়েক প্রভাবশালী নিলাম ডাকেন। ২০০৩-২০০৪ অর্থ বছরে সৃজিত আকাশমনি গাছের বাগান থেকে নির্বিচারে গাছ কেটে পাচার করার সময় মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্ট বিজিবি কাঠবর্তী একটি ট্রাক আটক করেন। তবে নিলামে অংশগ্রহণ করে এসব কাঠ উপকার ভোগীদের নিকট থেকে ক্রয় করে থাকেন নিলাম ডাককারীরা। এদিকে মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্ট বিজিবি করলেও ডি-ফরমের বাইরে অসংখ্য ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ থাকায় কাঠবর্তী ট্রাকটি আটক করেন। ইনানী রেঞ্জের আওতাধীন রাজাপালং বিটের এ কাঠ গুলো পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে। এছাড়াও ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর আহমদ বিজিবিকে অনুরোধ করে পরে ট্রাকটি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। প্রকৃত পক্ষে বন বিভাগের উর্ধ্বতনদের অবগত না করে নিজেদের ইচ্ছায় ট্রাকটি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, উখিয়ার শীর্ষ বনদস্যুরা বর্তমানে যে হারে সামাজিক বনায়নের আকাশমনি গাছ কর্তনের লীলা খেলায় মেতে উঠেছে তা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পুরো বনাঞ্চল সাবাড় হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, সরকারী নিয়ম মতেই উপকারভোগীদের নিকট থেকে এসব বাগানের গাছ নিলামের মাধ্যমে গাছ ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে। তবে বন বিভাগের বৈধ কাগজপত্র বিহীন এসব কাঠ পাচার হচ্ছে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টির সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানান। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট কর্মকর্তা নূরুল আবছারের যোগসাজসে চলছে সামাজিক বনায়নের আকাশমনি গাছ পাচারের মহোৎসব।
৩০ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত
কক্সবাজার ১৭ বিজিবির অধিন উখিয়ার বালুখালী ও তুমব্র“ বিজিবি বিওপি সদস্যরা সোমবার সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ৩০ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে আটক করেছে। আটককৃত রোহিঙ্গাদের বিকালে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের এ পর্যন্ত সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ৩২৩ জন রোহিঙ্গাকে বিজিবি আটক পুর্বক মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বলে ১৭ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাইফুল আলম জানান।
সুখি বড়ি সহ আটক-১
কক্সবাজারের ১৭ বিজিবির উখিয়ার রেজু বিওপির জোয়ানরা কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে যাত্রীবাহি সিএনজিতে তল্লাশী চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সুখি বড়ি সহ এক যুবককে আটক করেছে। রেজু বিজিবির সুবেদার হাজী নূরুল ইসলাম জানান, গতকাল সোমবার দুপুর ২ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জালিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর সোনারপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহি সিএনজি গাড়িতে তল্ল¬াশী চালিয়ে ৮ হাজার ৩ শত ৫ পাতা সুখি বড়ি সহ কক্সবাজারের খাইরুল আমিন নামের এক যুবককে আট করেন। আটককৃত সুখি বড়ির মূল্য ২ লক্ষ টাকা বলে বিজিবি জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আটককৃত যুবককে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে।



মন্তব্য চালু নেই