উখিয়া, কক্সবাজারের কিছু খবর

উখিয়ায় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক লিপি প্রদান

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি উখিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্বে ন্যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে সকলের সাথে বেতন স্কেল কার্যকর করার দাবী সম্মলিত স্মারক লিপি প্রদান করেছেন সহকারী কমিশনার ভুমি উখিয়া এএইচএম মাহফুজুর রহমানের মাধ্যমে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উখিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম, ভালুকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিয়াকত আলী, সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মিলন কুমার বড়ুয়া, কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নজরুল বশর, উখিয়া কলেজেরে উপাধক্ষ্য আব্দুল হক, অধ্যাপক তহিদুল তহিদ, রাজাপালং এমইউ ফাজিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক জসিম উদ্দিন, দিদারুল আলম খোকন ও এনআই চৌধুরী কারিগরী কলেজের শিক্ষক শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্বের ন্যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে একযোগে একই দিনে বেতন স্কেল কার্যকর করা সহ শিক্ষানীতি-২০১০ দ্রুত বাস্তবায়ন করা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয় করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক।

আমাদের যুক্তির দাবী সমূহ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে আমাদের স্বভাবিক শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে আশ্বস্থ করবেন। অতীতের মত আগামীতে ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল শিক্ষক ও কর্মচারী আপনার বিহীত সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নের অঙ্গিকারবদ্ধ।

 

উখিয়ায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে দফায়-দফায় গুলি বর্ষণ এলাকায় আতংক : আটক ৩
কক্সবাজারের উখিয়ার পার্শ্ববর্তী হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কেরুনতলী মিতাবনিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দফায়-দফায় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটানায় হোয়াইক্যং ইউনিয়ন জুড়ে চরম উত্তেজনা ও আতংক দেখা দিয়েছে।

কেরুনতলী গ্রামের শত শত লোকজন তাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় ২০ একর জমি দখল করতে গিয়ে কাটাখালী গ্রামের ৫০/৬০ জন সশস্ত্র ডাকাত এ গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে গুলি বর্ষনের ঘটনা নিয়ে এলাকায় চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কেরুনতলী মিতাবনিয়া গ্রামের কৃষকদের চাষাবাদকৃত ২০ একর ধানী জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষ করে আসছিল। ওখানকার কৃষকদের উক্ত জমির ফসলের আয়ের উপর নির্ভর করে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। সম্প্রতি দু’পাহাড়ের পাদদেশের মাঝখানের ছরায় চাষাবাদকৃত উক্ত ২০ একর জমির উপর স্থানীয় এক প্রভাবশালীর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে।

মূলত ওই প্রভাবশালীর ইন্দনে কাটাখালী গ্রাম থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে কেরুনতলীতে গিয়ে ৫০/৬০ জন সশস্ত্র ডাকাত গত ১৭ জানুয়ারি দুপুরে এলাকায় আতংক ছড়ানোর জন্য ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। পর দিন ১৮ জানুয়ারি রোববার বিকালে আবারো ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে জমি দখল নিতে চাইলে শত শত গ্রামবাসী জড়ো হয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আমির বকসুর ছেলে নুরুল আলম (৪০), হাবিবুর রহমানের ছেলে গোলাম আকবর (৩৮) ও ইউসুফ আলীর ছেলে আলী আকবরকে জনতা ধৃত করে জেলা যুবলীগ নেতা শাহাদত হোসেন জুয়েলের মধ্যস্থতায় হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির নিকট সোপর্দ করেন।

এঘটনার ফের প্রতিশোধ নিতে কাটাখালী গ্রামের আবু তাহের ডাকাত, মফিজুর রহমান, বাহাদুইয়া ডাকাত, গোলাম আকবর, মিজান, আবুল কালাম, আবুল হাসেম, ইয়াকুব আলী, নূরু, আব্দুল জলিলসহ ২০/২৫ জন গভীর রাতে কেরুনতলীর কৃষকদের ওই জমিতে আবারো ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে গ্রামবাসীরা চরম ভাবে আতংকিত নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে।

কেরুনতলী গ্রামের কেরুনতলী গ্রামের হাজী আহমদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসা জমি গুলো বেআইনী ভাবে পেশীশক্তির জোরে জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে ওই ভুমিদস্যু ডাকাতরা। কৃষক দেলোয়ার জানান, জীবন থাকতে তাদের জমি কেউ দখলে নিতে পারবে না। তিনি বিষয়টি উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকেও অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে। হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি ওমর ফারুক ঘটনাকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে কৃষকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে আতাঁত করে উল্টো নিরীহ কৃষকদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে।

টেকনাফ থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই