উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদ
উখিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষককে চাকুরীচ্যুত করার অভিযোগ
কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের চরম দুর্নীতি ও অনিয়মে অতীষ্ট হয়ে পড়েছে শিক্ষক কর্মচারীরা। এ ঘটনায় মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা অধ্যক্ষ আবুল হাছান আলীর কালোথাবায় জিম্মি হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, একের পর এক অঘটনের জন্ম দিয়ে উপজেলার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা শোচনীয় করে তুলেছে। এছাড়াও নিজের ছেলেকে চাকুরী দেওয়ার কু-মানসে কর্মরত শিক্ষকের পদকে শূন্য দেখিয়ে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। উক্ত মাদ্রাসায় ভুয়া কর্মচারী দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতি মাসে সরকারের বিপুল পরিমানের অর্থ উক্ত অধ্যক্ষ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধাবার দুপুর ২ টার দিকে উখিয়ার রাজাপালং ফাজিল মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী মাওলানা নূর আহমদ প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ১৯৭৪ সালের একজন উক্ত মাদ্রাসায় সহকারী মাওলানা হিসেবে যোগদান করে দীর্ঘদিন ধরে সৎ ও নিষ্টার সাথে ছেলে-মেয়েদের পাঠদান করে আসছি। কিন্তু গত ২৫ নভেম্বর কক্সবাজারের একটি দৈনিক পত্রিকায় আমার উক্ত পদ শূন্য দেখিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। এব্যাপারে উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে আমার চাকুরী, নিয়োগ ও বেতন ভাতা উত্তোলন বৈধ নয় বলে জানান। এ ক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন, আমার চাকুরী যদি অবৈধ হয়ে থাকে দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে কিভাবে তা সম্ভব হল। গত অক্টোবর মাসেও উক্ত মাদ্রাসা থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করি। এ ক্ষেত্রে আমার ইনডেক্স নং- ০২০৩৪৯।
উল্লেখ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ২০১৫ সাল থেকে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় ম্যানেজিং কমিটির কোন তদারকী ছাড়াই সরকারী ভাবে নিয়োগ প্রদানের প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ আবুল হাসান আলী তার ছেলে আবু বরদাকে উদ্দেশ্য ও বেআইনী ভাবে তড়িঘড়ি ভাবে আমার পদ শূন্য দেখিয়ে নিয়োগ দান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আবেগভরা কন্ঠে জানান, আর মাত্র ১৬ মাস চাকুরী মেয়াদ রয়েছে। মেয়াদ শেষে অবসরের টাকা নিয়ে সম্মানের সহিত হজ্বে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু অধ্যক্ষ একজন আলেম হওয়ার স্বর্তেও চরম অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার হয়তো সে ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব হবেনা। তা ছাড়াও আমার অনেক জুনিয়র শিক্ষক টাইমস্কেল পেয়ে চাকুরী বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১৩ সালে টাইমস্কেলের জন্য অধ্যক্ষকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার পরও আমার টাইমস্কেল হয়নি।
উক্ত মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও নাম সর্বস্ব ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মোস্তাক আহমদ যার ইনডেক্স নং- ৩০৬৬০৯ ও মাদ্রাসার এমএলএসএস হাফেজ সালামত উল্লাহ ইনডেক্স নং- ৩২১৯০৮ উভয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করলেও বছরের পর বছর রাজাপালং মাদ্রাসায় তাদের নামে সরকারী বিল-ভাতা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। তৎমধ্যে উক্ত মাদ্রাসার এমএলএসএস হাফেজ সালামত উল্লাহ চট্টগ্রাম শহরে একটি মসজিদে বিগত ৩ বছর ধরে খতিব হিসেবে চাকুরী আসছেন বলে ফোনে তিনি স্বীকার করেছেন। বেতন-ভাতা উত্তোলনের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানায়। ঐ মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোস্তাক আহমদ জালিয়াপালং জুনিয়র হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলে উক্ত বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ সিকান্দর ও প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার পাল স্বীকার করেছেন। উক্ত শিক্ষক মোস্তাক আহমদ জালিয়াপালং জুনিয়র হাই স্কুলে শিক্ষকতার কথা অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষক মৌলানা নূর আহমদের ব্যাপারে বিধি পরিপন্থি কোন আচরণ করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না। রাজাপালং ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল হাসান আলী জানান, শিক্ষক নূর আহমদের শিক্ষা সনদে গড়মিল থাকায় ২০১২ সালে তার চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলেও তার বেতন-ভাতা কোন আইনের অজুহাতে বেতন-ভাতা উত্তোলন করা হচ্ছে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের উত্তর দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। স্থানীয়রা রাজাপালং ফাজিল মাদ্রাসার অবব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি অনুসন্ধানে এবং দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষকের অনিয়মের তদন্তপূর্বক শাস্তি দাবী করেছেন।
উখিয়ায় সিড্স প্রকল্পের বিজয় দিবসের তাৎপর্যমূলক আলোচনা
মহান বিজয় দিবসের বর্ণনামূলক তাৎপর্য নিয়ে কোস্ট ট্রাস্ট সিড্স প্রকল্পের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উখিয়া সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা ব্যবস্থাপক মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের তাৎপর্য মূলক আলোচনা সভায় প্রধান শিক্ষক হারুন উর রশিদ প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিড্স প্রকল্প কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারী ও উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজক মোঃ হেলাল উদ্দিন, উখিয়া কোস্ট ট্রাস্ট ফলোআপ কর্মকর্তা লাইলা আক্তার, কোস্ট ট্রাস্ট কর্মকর্তা দিদারুল আলম, মোঃ ইকবাল প্রমূখ। বিজয় দিবসের তাৎপর্য মূলক এ আলোচনা সভায় কোরআন তেলোয়াত করেন, মাওলানা শফিউল আলম। এসময় বিজয় দিবস সম্পর্কে সিড্স প্রকল্পের কক্সবাজার অঞ্চল কর্তৃক সংগৃহীত ও সংকলন করা কিছু কিছু ঘটনাবলী ও তাৎপর্য মানপত্র পাঠ শুনান লম্বাঘোনা কিশোরী সংলাপ কেন্দ্রের কিশোরী রাশেদা আক্তার। অন্যান্যদের মধ্যে কোস্ট উন্নয়ন কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, শাহেনা আক্তার, মৌলভী নূরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন। উক্ত আলোচনা সভার সার্বিক উপস্থাপনা করেন মৌলভী শাহ আলম। এসময় বক্তারা আলোচনায় অংশ নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির একটি গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা। বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানে একটি দেশ, একটি পতাকা। লাল সবুজের পতাকায় মুজিব তোমায় দেখতে পায় বলে উল্লেখ করে আলোচকরা বলেন, যে নেতার হাত ধরে দেশ স্বাধীন হয়েছে সে স্বাধীনতাকে বিকিয়ে দিতে দেশে এখনো কিছু কুলাঙ্গারের দল সক্রিয় রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তাৎপর্য ও ইতিহাস পৌঁছে দিতে কোস্ট ট্রাস্ট সিড্স প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে।
উখিয়ায় মানবপাচার প্রতিরোধে এয়্যারনেস ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত
মানব পাচার প্রতিরোধে এয়্যারনেস ক্যাম্পেইন হেলপ কক্সবাজার এনজিওর উদ্যোগে রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় গত ১৫ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৪ টায় উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী ষ্টেশনে বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাবেক মেম্বার হাজী মোহাম্মদ সোলাইমান এর সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্টিত হয়।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থাইংখালী হাইওয়ে পুলিশ ফাডিঁর আইসি নান্নু মন্ডল,বিশিষ্ট সমাজসেবক ও হেলপ কক্সবাজার এনজি’ওর পরিচালক বাদশা মিয়া চৌধুরী,পালংখালী ইউনিয়নের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোজাফ্ফর আহমদ সওদাগর,থাইংখালী হাকিমপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মওলানা ইউনুচ,পল্লী চিকিৎসক ডাঃ আব্বাস উদ্দিন,তাজমিনার খোলা এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মওলানা দিল মোহাম্মদ, শেড এনজি’ওর বিজনেস ডেভলেপম্যান্ট কো অর্ডিনেটর আলমগীর রেজা,ভিকটিম ছৈয়দ আহমদ,নুরুল আবচার, স্বাগত বক্তব্য রাখেন হেলপের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম, এম,এ, হেলপ এনজিওর প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাহের, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন সিকদার,স্থানীয় এনজিও কর্মী,গন্যমান্য ব্যক্তিগন।
এসময় বক্তারা বলেন, হেলপ কক্সবাজারের উদ্যোগে রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় আয়োজিত বাংলাদেশে মানব পাচার শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রকল্পে মানব পাচার প্রতিরোধে এওয়্যারনেস ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা মুলক সভায় পালংখালী ইউনিয়ন বাসীকে দালাল সিন্ডিকেটদের কাছ থেকে সতর্ক থাকার আহবান জানান। অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালেশিয়া যাওয়ার জন্য পালংখালীর রোহিঙ্গারা মানবপাচার কাজের মুল হোতা। স্থানীয় কিছু দালাল তাদের পক্ষ হয়ে সামান্য অর্থের লোভে মানবপাচারের মত জগন্য কাজে দালালের সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত মানবপাচারে নিয়োজিত রয়েছে। বক্তারা জানান,আটক রেখে নির্যাতন করে টাকা আদায় করার পরও তাদের ছেলেদেরকে শেষ রক্ষা করতে পারছেনা। থাইংখালীর একজন ভিকটিম পিতার দফায় দফায় ৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও ছেলেকে জীবিত ফেরত পাইনি।
মানবপাচার সমাজের একটি ব্যধি। এই ব্যধিকে প্রতিরোধ করতে হলে জনগনকে সচেতন হতে হবে এবং সরকার এই ব্যধিকে দমন করতে একটি আইন প্রনয়ন করেছে “মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইন ২০১২” বক্তারা আরো বলেন, জনগন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় মানবপাচার বন্ধ করতে হবে। ভদ্রবেশী কিছু শয়তান আজ বাড়ীতে বসে চেইন অব কমান্ড এর মাধ্যমে পাচার নিয়ন্ত্রন করছে এবং এরাই সবচেয়ে পাচারকারীদের মধ্যে সুবিধাভোগী ব্যক্তি। মানব পাচার ঘৃন্য ব্যবসায় মানবতা বন্ধী হয়ে থাকে, অমানবিক,আবহের ঘোরটোপে আধুনিক দাসত্বের এই ছল ব্যবস্থার অবর্ননীয় দুর্ভোগ থেকে মুক্ত পায়না নারী-শিশু এমনকি পুরুষও। মানবপাচার একটি নিষ্টুর সংক্রামক ব্যধি যা প্রায় সকল অনৈতিক চর্চা যেমন দুর্নীতি,দারিদ্রতা,নির্যাতন ইত্যাদিকে ইন্দন যুগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে জাতীয় অগ্রগতির পথ হচ্ছে রুদ্ধ। মোহনীয় প্রস্তাবের ঝুকিপূর্র্ন ফাদেঁ অবরুদ্ধ পুরুষ শ্রমিকরা এই দ্রুত বর্ধনশীল সংঘবদ্ধ অপরাধের প্রধান ঝুঁকি।
জনসচেতনতা মুলক এওয়্যারনেস ক্যাম্পেইনে সভায় বক্তারা আরো বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে এবং মানবপাচারকে জিরো টলারেন্সে নিয়ে আসতে আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি জনগনকে সচেতন হতে হবে এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে এসে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যারা সমাজের তরুনদের প্রলোভনে ফেলে অনিরাপদে মালেশিয়া পাঠিয়ে সর্বস্ব নিঃস্ব করে দিচ্ছে সেইসব চিহ্নিত দালালকে খুজেঁ বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদান করলে নিরহ লোকজন পাচার থেকে রক্ষার পাশাপাশি পাচারের মত জঘন্য কর্মকান্ড থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
খাদ্য, বাচ্চা ও ঔষুধের মূল্য বৃদ্ধি উখিয়ায় পোলট্রি শিল্পের মারাত্মক বিপর্যয়
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার গ্রামগঞ্জে গড়ে ওঠা পোলট্রি শিল্পের মারাত্মক বিপর্যয়ের ধারাবাহিকতায় অসংখ্য শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। ঔষুধ, খাদ্য ও লেয়ার বাচ্চার মূল্য বৃদ্ধির কারণে খামারিরা ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়ে ৫০ ভাগ পোলট্রি খামার ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় ভাবে মুরগির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
খামারিদের অভিযোগ পোলট্রি শিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকারি ভাবে স্থায়ী কোন নীতিমালা না থাকায় এ শিল্পের প্রতি প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই বললে চলে। বাজারে খাদ্য, লেয়ার বাচ্চা ও ঔষুধের মূল্য দিন দিন বাড়তে থাকলেও বাড়েনি মুরগি ও ডিমের দাম। যে কারণে উৎপাদিত মুরগি বাজারে বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা লোকসান দিচ্ছে। এভাবে ৫০ শতাংশ পোলট্রি শিল্প লোকসানের মুখে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে।
পোলট্রি শিল্পের সাথে জড়িত একাধিক খামারি জানান, লেয়ার বাচ্চা, খাদ্য ও ঔষুধ সহ উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ শিল্পটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বাজারে যেভাবে ডিমের দাম কমেছে সে ভাবে মুরগির চাহিদা থাকলেও বাড়েনি দাম। যার ফলে খামার মালিকেরা তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলতে পারতেছে না। উপরোন্তু দিন দিন ভুর্তকি দিতে বাধ্য হওয়ায় অনেকেই এ পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
সরেজমিন পালংখালী, বালুখালী, উখিয়া সদর, ডেইলপাড়া, পাতাবাড়ি, হলদিয়া ঘুরে খামার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৪ শতাধিক পোলট্রি খামারের মধ্যে ২ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে এসব খামারের সাথে জড়িত শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়ায় তাদের পরিবারের নেমে এসেছে র্দূদিন। উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান এঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
মন্তব্য চালু নেই