উখিয়ায় একটি সেতুর অভাবে ১৫ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার

কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের দোছড়ী দুর্গম পাহাড়ী জনপদ গ্রামের একটি ব্রীজের অভাবে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। জানা যায়, রাজাপালং ইউনিয়নের দীর্ঘ বছর ধরে এ দোছড়ী গ্রামটির রাস্তা ঘাট, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের মত গুরুত্বপূর্ণ জনসাধারণের জীবন ধারণের যে ৫টি মৌলিক চাহিদা রয়েছে তার কোনটার ছোঁয়া পড়েনি অবহেলিত এ গ্রামটিতে।

এখানকার দোছড়ী গ্রামের মেটো পথে দীর্ঘ ২০ কিলোমিটারেরও বেশি একটি সড়ক থাকলেও সুদুর এ গ্রাম থেকে উখিয়া সদরে পায়ে হেটে আসতে হয় জনসাধারণকে। অবশ্যই ছোট-খাট যানবাহন তথা রিক্সা, টমটম ও সিএনজি চলাচল করে থাকে এ সড়কে। তবে এ শ্রেণীর বালু ব্যবসায়ীরা দোছড়ী খাল থেকে অবৈধভাবে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার পরিবেশ ও বালুর ট্রাক-ডাম্পারের বেপরোয়া চলাচলের কারণে সড়কটির বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে।

বিশেষ করে আওয়ামীলীগ সরকার ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার পর উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজে হাত দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাংসদ বদি উখিয়া সদর দারোগা বাজারের মুখ থেকে দোছড়ী পর্যন্ত সড়কটি এলাকার জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে কার্পেটিংয়ের আওতায় আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালান।

গত ২০১১-১২ অর্থ বছরে সড়ক সংস্কার ও উন্নয়নের আওতায় উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর নীতিমালা অনুযায়ী ১ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিংয়ের আওতায় আনেন। অবশিষ্ট সড়কের অংশ পর্যায়ক্রমে কার্পেটিং করা হবে। তবে দোছড়ী খালের এপার-ওপারের জনগনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুর্ভোগের কথা কেউ চিন্তা করেনি। এ অবস্থায় ২/১ টি অর্থ বছর বর্তমান সরকার এ খালের উপর কাটের তৈরি একটি সেতু নির্মাণ করে এলাকাবাসীকে যাতায়াত সুবিধা দেওয়া হয়। বিগত বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ী ঢলের স্রোতের প্রবল ভেগের কারণে কাটের নির্মিত সেতুটির কিছু কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ে।

এ অবস্থায় খালের এপার ওপারের শত শত স্কুল মাদ্রাসা ও মকতবমূখী শিশুরা সেতু পার হয়ে আসা যাওয়া করতে দারুন ভাবে ভয় পাচ্ছে। এমনকি বয়োবৃদ্ধ লোকজন ও সেতু পার হতে গিয়ে খালের মধ্যে পড়ে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় রাজনৈতিক সচেতন জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতার অভাবে দোছড়ী গ্রামটি স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অবহেলিত ও বঞ্চিত হয়ে আসছে।

দোছড়ী গ্রামের গুরা মিয়া জানান, বর্ষাকালে খালের পানি ওপরে ওঠে অনেক সময় বাড়ি ঘর ঢুবে যায়। এখানকার লোকজনের সুষ্টু যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় উখিয়া সদরে আসা-যাওয়া করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় অবশ্যই দোছড়ী সড়ক উন্নয়ন ও খালের উপর সেতু নির্মাণ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সাথে কি কারণে দোছড়ী খালের উপর সেতু নির্মাণ হচ্ছে না বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী নতুন যোগদান করায় বিস্তারিত জানাতে পারেন নি।



মন্তব্য চালু নেই