চুমুর যত কিচ্ছা

চুমু নিয়ে ঘটনার শেষ নেই পৃথিবীতে। ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশে কিংবা বিপ্লবে-আবেগে সবখানেই চুমু এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ২০১১ সালে মিসরে সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনের কম করে হলেও লাখখানেক ছবি তোলা হয়েছে বিভিন্ন সময়। কিন্তু প্রতিবাদরত দুই নর-নারীর চুমুর দৃশ্য যতটা মানুষের হৃদয় কেড়ে নিয়েছে ঠিক ততটা অন্য কোনো ছবিই নেয়নি। অথবা আপনি যদি কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া ভারতের চুমু আন্দোলনের কথা চিন্তা করেন, তাহলেও সেই একই চিত্র দেখতে পাবেন। সমাজের তরুণ একটি অংশ চুমুকে তাদের প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

ভালোবাসার আবেগ প্রকাশে চুমুর ব্যবহার অনেক প্রাচীন। খ্রিষ্টপূর্ব দশহাজার অব্দতেও চুমুর ব্যবহার ছিল বলে জানা যায়। কিন্তু মানবজীবনে ঠিক কিভাবে চুমু আবেগ প্রকাশের রীতি হয়ে দাড়ায় তা ঠিক করে বলা মুশকিল। তবে এটা ঠিক যে, পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তেই চুমু এক অনিবার্য সত্য হয়ে টিকে আছে আরও অনেক রীতির মাঝে। এযাবৎ পৃথিবীতে অনেক প্রাচীন চিত্রকর্ম এবং স্থাপত্যকর্ম পাওয়া গেছে। এরমধ্যে এমন অনেক চিত্রকর্ম ও স্থাপত্যকর্ম আছে যেখানে চুমুর বিষয়টি ষ্পটতই উল্লেখ আছে। পাঠকদের জন্য সেরকম কিছু নিদর্শন তুলে ধরা হলো।
10000আইন সাকরি লাভারস (খ্রিষ্টপূর্ব ১০,০০০ অব্দ): বেথেলহেমের একটি গুহা থেকে এই স্থাপত্যকর্মটি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে এটি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। স্থাপত্য নির্মানকালের একেবারে শুরুর দিকের নিদর্শন এই স্থাপত্যকর্ম। এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রাপ্ত ভালোবাসার চিহ্ন সম্বলিত আর্টের মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রাচীন।
GREEKঅ্যাটিক রেড-ফিগারড কাপ (খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮০ অব্দ): গ্রিকদের সমাজে কিছু অদ্ভুত নিয়মকানুন প্রচলিত ছিল। যদিও বর্তমান সময়ে এগুলোকে অদ্ভুত মনে হলেও সেই যুগের হিসেবে সেটা স্বাভাবিকই ছিল বলা চলে। গ্রিক সমাজে নারীর প্রতি ছিল পুরুষের একছত্র আধিপত্যবাদী অধিকার। সেসময় পুরুষে-পুরুষে অথবা বয়স্ক নর-নারীর মধ্যে চুমু বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। গ্রিক আমলের এই প্রাপ্ত চিত্রকর্মটিতে দেখা যায়, দাড়িওয়ালা নৃপতি এক নারীর চুল টেনে ধরে চুমু দিচ্ছে।
CUPIDকিউপিড কিস (১৭৮৭-১৭৯৩): নিউক্লাসিক্যাল যুগে ইউরোপ কাঁপানো ভাষ্কর ছিলেন অ্যান্তনিও কানোভা। বেশকিছু ভালো ভাষ্কর্যের জনক তিনি। তার কাজের মধ্যে মাইথলজিক্যাল লাভ অন্যতম। তিনিই প্রথম কল্পনার দেবতাকে মর্ত্যের নারীর ঠোটে চুমুরত অবস্থায় নির্মান করেন। সেসময় যদিও এই ভাষ্কর্য নিয়ে বিতর্কের শেষ ছিল না।
JAPজাপানে চুমু (১৭৮৮): জাপানের চিত্রকর্মে যৌনতার প্রভাব অনেক প্রাচীন। কিন্তু ক্ল্যাসিক্যাল আর্টের যুগে জাপানের উতামারো কিতাগাওয়ার চিত্রকর্মে যৌনতাকে নতুন করে পাওয়া যায়। মূলত ইউরোপের অনেক আগেই জাপানের চিত্রকর্মে যৌনতার প্রভাব ছিল।
KISSদ্য কিস (১৮৮২-৮৯): পাশ্চাত্যের শিল্পের সবচেয়ে আইকনিক রোমান্টিক নির্দশন হলো আগাস্টাস রোদিনের ‘দ্য কিস’। এখানেও শিল্পী কল্পনার দেবতাকে মর্তের নারীর কাছে শিল্পীত উপায়ে তুলে ধরেছেন। সেসময় রোদিনের এই স্থাপত্যকর্মটি ব্যাপক সমাদৃত হয়।



মন্তব্য চালু নেই