উখিয়ার ইনানীতে ঝাউগাছ নিধন করে লুটপাট করছে কাঠ চোর সন্ত্রাসীরা

কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী উপকূলের নিরাপত্তা বেষ্টনী দিন দিন কাঠ চোরের দল কেটে নিয়ে যাওয়ায় সবুজ বেষ্টনী অস্থিত্ব মুখে পড়েছে। এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চক্র বাণিজ্যিক ভাবে ঝাউগাছ নিধন করে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও সাগর পথে বিভিন্ন এলাকায় পাচার করে আসছে। ফলে ১৯৯১ সালে সৃজিত এ ঝাউবাগান প্রকল্প এখন বিলুপ্তির ধারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। ঝাউগাছ কর্তন পূর্বক পাচারের ফলে যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে জনজীবনের জানমাল রক্ষা হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ করে গ্রামবাসী জানান, সংশি¬ষ্ট বনবিট কর্মকর্তা ঝাউগাছ লুটপাটের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বৃহত্তর উপকূলবাসীর স্বার্থে সৃজিত এ নিরাপত্তা বেষ্টনী এখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দূর্যোগ, নদী ভাঙনসহ বিভিন্ন কারণে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল জুড়ে ১৯৯১ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের নিদের্শে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় বনবিভাগের সহায়তায় গড়ে তোলা হয় সবুজ বেষ্টনী। এসব ঝাউবীথি বেড়ে ওঠার ফলে পর্যটন খ্যাত উপকূলীয় এলাকা পর্যটকদের জন্য অবকাশ যাপনসহ সাময়িক আনন্দ বিনোদনের ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। পক্ষান্তরে বি¯তৃর্ণ উপকূলীয় এলাকা ঝাউবাগান প্রকল্প রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার ফলে বর্তমানে উপকূলের এ নিরাপত্তা বেষ্টনী অপরাধী চক্রের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এসব অপরাধী চক্র ঝাউগাছ কর্তন করে স্থানীয় ভাবে বাজার জাত ও সাগর পথে বিভিন্ন এলাকায় পাচারের ধারাবাহিকতায় অব্যাহত থাকায় একদিকে যেমন পর্যটন এলাকা সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে একই ভাবে সাগরের ভাঙ্গনে বি¯তৃর্ণ উপকূলীয় এলাকা বিলুপ্ত হচ্ছে।

চোয়াংখালী গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী নূর হোসেন মাস্টার অভিযোগ করে জানান, এলাকার একটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র গত কয়েকদিন ধরে উপকূলের ঝাউগাছ কেটে সাগরপথে পাচার করছে। গত এক মাসে হাজারেরও অধিক ঝাউগাছ কর্তনের ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলেও প্রভাবশালী চক্রের দাপটের মুখে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। চোয়াংখালী বিট কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন, চোয়াংখালী গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে মোজাম্মেল ১০/১২ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে শতাধিক ঝাউগাছ কর্তন করে পাচার করছিল।

গোপন সূত্রের সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১শ’ ঘনফুটের অধিক ঝাউগাছ উদ্ধার করা হয়েছে। বিট কর্মকর্তা জানান, এব্যাপারে মামলা না করার জন্য কাঠচোর চক্র তাকে হুমকি প্রদর্শণ করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর আহমদ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝাউবাগান উজাড় হলে করার কিছু নেই।



মন্তব্য চালু নেই