ইয়েমেন থেকে আরও ১০ বাংলাদেশী সন্ধ্যায় আসছেন

ইয়েমেনে কর্মরত বাংলাদেশীদের মধ্যে আরও ১০ জন শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন। ‘ফ্লাই দুবাই’র এফ জেড ৫৮৫ নম্বর ফ্লাইটযোগে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় তাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা।

পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক শনিবার বিকেলে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে ইয়েমেনে কর্মরত বাংলাদেশীদের মধ্যে ১১ জন গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় পৌঁছান। যার মধ্যে আটজন নারী ও শিশু ছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, ইয়েমেনের এডেন বন্দর থেকে শনিবার ৫৬ জন বাংলাদেশীকে আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজের সহায়তায় জিবুতিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে গত শ্রক্রবার ইয়েমেন এর আল হুদাইদা শহর থেকে ২৭২ জন বাংলাদেশীকে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজের সহায়তায় জিবুতিতে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। যার মধ্যে ২৬১ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ৫ জন শিশু।

মো. শহীদুল হক আরও জানান, তিন দফায় ৩৬০ জন বাংলাদেশীকে জিবুতিতে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৪০ জন ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ এবং ২০ জন এয়ার ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ইয়েমেন থেকে জিবুতিতে পৌঁছান।

জিবুতিতে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব জানান, একটি বৃহদাকার ক্রুজ শিপের মাধ্যমে জিবুতি থেকে ভারতের কেরালার কোচিন বন্দরে বাংলাদেশীদের নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাদেরকে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটযোগে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

মোট কতজন বাংলাদেশী ইয়েমেনে রয়েছেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘সঠিক সংখ্যা জানা নেই। তবে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী বলা যায়, ৫০০’র কিছু বাংলাদেশী ইয়েমেনে রয়েছেন।’

ভারত তাদের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় ইয়েমেনে আরও বাংলাদেশের নাগরিকের খোঁজ পাওয়া গেলে, তাদেরকে কীভাবে উদ্ধার করা হবে? গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, ‘আমরা বিকল্প ভেবে রেখেছি। সমস্যা হবে না। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম বাংলাদেশকে সহায়তা করছে এবং সামনেও করবে। এ ছাড়া প্রয়োজনে জাহাজ ভাড়া করে অথবা বাংলাদেশ বিমানে করে আটকেপড়াদের উদ্ধার করা হবে। যারা ইয়েমেন থেকে আসতে চান তারা আসতে পারবেন। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’



মন্তব্য চালু নেই