ইসি নিয়ে বিভ্রান্তি না করার অনুরোধ হানিফের

বিএনপিকে অহেতুক নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা চালাচালি করে বিভ্রান্তির চেষ্টা না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান সিরাজ চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

বিএনপির উদ্দেশে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসতে আমরা বারবার আহ্বান জানিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিএনপি নেত্রীকে টেলিফোন করেছিলেন। তার প্রতিউত্তরে তিনি (খালেদা জিয়া) কী অসৌজন্যমূলক কথা বলেছিল সেটা দেশবাসী জানে।

তখন সংবিধান অনুয়ায়ী গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নির্বাচন করাটা অপরিহার্য ছিল। তাই ইসি নির্বাচন করেছেন। এখানে নির্বাচন কমিশনের দোষ ও ব্যর্থতা কোথায়! আপনারা যদি ভুল রাজনীতি করেন, তার দায়ভার কি নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে নিতে হবে, বলেন হানিফ।

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে হানিফ বলেন, দেশের জনগণ আপনাদের এমএ আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন দেখেছেন। সেই নির্বাচন কমিশন কি করেছিল সেটা দেশবাসী ভুলেনি। কিন্তু রকিবউদ্দীন নির্বাচন কমিশন সেটা করেনি। এই রকিবউদ্দীন ইসির অধীনেই আপনারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে পাঁচ সিটি করপোরেশনে জয়লাভ করেছিলেন।

হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর আস্থাশীল। আমরা জনগণের ভোট নিয়েই রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চাই।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘আপনারা অহেতুক এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা চালাচালি করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিতে যারা আছেন তারা প্রত্যেকে যোগ্য ব্যক্তি। তাদের ওপর আস্থা রাখুন। তাদের ওপর দায়িত্ব আছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে একটি তালিকা তৈরি করে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া। আপনারা রাষ্ট্রপতির ওপর আস্থা রাখুন। তিনি বাংলাদেশের অভিভাবক। তিনি অবশ্যই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে হানিফ বলেন, আপনি যদি মনে করেন, আপনাদের আজিজ মার্কা ইসির মতো পক্ষের কোনো লোক না হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করবেন- তাহলে জাতির আর বলার কিছু নেই। জাতি শুধু অপেক্ষায় থাকবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণ যেভাবে শিক্ষা দিয়েছে ভবিষ্যতেও ঠিক একইভাবে ব্যালটের মাধ্যমে শিক্ষা দেবে।

এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই বাংলাদেশকে নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া যায় না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

একই সঙ্গে বিএনপিকে ভুল রাজনীতির ধারা থেকে বেরিয়ে এসে সুষ্ঠু ধারার সুষ্ঠু চিন্তাধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই