ইসি গঠনের আগে নিয়োগ আইন প্রণয়নের দাবি
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কিত আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বুধবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে সুস্পষ্ট সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকার পরও এ সংক্রান্ত কোনো আইন এখনো প্রণীত না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সাংবিধানিক অঙ্গীকার অবহেলা করে কোনো আইন প্রণয়ন ছাড়াই ধারাবাহিকভাবে শুধুমাত্র মনোনয়নের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্রদানের কারণে সংবিধানের ১১৮(১) ধারা শুধু লঙ্ঘিতই হচ্ছে না, বরং নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জন-আস্থাও ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। সংবিধানের ১১৮(১) ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষেই রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ প্রদান করবেন।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন করা হলে এবং তদানুসারে সার্চ-কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করা হলে স্বচ্ছতার ঘাটতি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিরসনেরও সম্ভাবনা বাড়বে।’
তিনি আরো বলেন, সার্চ কমিটির কর্ম-পরিধি ও তার সদস্যদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারণ, সার্চ-কমিটির সুপারিশকৃত ব্যক্তিদের সকল তথ্য জনগণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের শর্তাবলী, পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদিসহ আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতালব্ধ অন্যান্য উপাদানসমূহ প্রস্তাবিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন সম্পর্কিত সকল অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কিত আইনটি প্রণয়ন করার আহ্বান জানায় টিআইবি।
মন্তব্য চালু নেই