ইসির ব্যর্থতায় নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে : সুজন

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কারণে আজ দেশের পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যদি এমন অনিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তবে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অত্যন্ত সংকটে পড়বে। যেখান থেকে আর উত্তরণ করা সম্ভব হবে না।

মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঘটে যাওয়া ব্যাপক সহিংসতা ও হতাহতের তথ্য তুলে ধরে এ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দেশে নির্বাচনের নামে বর্তমান নির্বাচন কমিশন জনগণকে ধোকা দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এ দাবিতে নির্বাচন কমিশন যতই আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলুক না কেন, তারা যে নিরপেক্ষ ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সম্পূর্ণ ব্যার্থ হয়েছে সেটি প্রমানিত। ইসি চাইলেও আর সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। কারণ তারা পুরো পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। জনগণও তাদের প্রতি আস্থা-বিশ্বাস হারিয়েছে।

নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির ক্ষেত্রে পূর্বের সব রেকোর্ড ছাড়িয়ে গেছে উল্লেখ করে সুজন সম্পাদক বলেন, এবার অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে একেবারেই প্রকাশ্যে এবং বেপরোয়াভাবে। ভোট জালিয়াতির ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা কোনো রাগঢাক রাখে নি। এছাড়া দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের কারণে মনোনয়ন বাণিজ্য বেড়ে নির্বাচনকে হুমকিতে ফেলছে। এতে জেতার মানসিকতা প্রকট হয়ে বাড়ছে সহিংসতা।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে নির্বাচন কমিশনই এখন সবচেয়ে বড় বাঁধা। নির্বাচন কমিশন যদি ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে না পারে তাহলে তাদের উচিৎ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো। কারণ এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে আর নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। বরং সরাসরি গেজেট দিয়ে প্রতিনিধি ঘোষণা করলেই চলবে।

দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ও অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে সুজনের প্রধান সমন্বয়ক দীলিপ সরকার বলেন, এই ধাপে ভোটগ্রহণের দিন নিহত হয়েছে ৯ জন, আহত হয়েছে কয়েকশ’।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৫৬ জন নিহত ও পাঁচ হাজারের মত আহত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই