ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভাষাদূষণ রোধে কমিটি

সরকারি, বেসরকারি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বাংলা ভাষার বিকৃতি রোধে তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।

এ কিমিটির সদস্যরা হলেন- তথ্যমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ব্ভিাগের প্রতিনিধি, বাংলা একাডেমির প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধি, অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার (অ্যাটকো) এর প্রতিনিধি, বেসরকারি বেতার কেন্দ্রসমূহের প্রতিনিধি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (টিভি-২) কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এ কমিটির কার্য পরিধি হলো- সরকারি ও বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম তথা সকল টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতারে সংবাদ, অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় বাংলার সঙ্গে অহেতুক অন্যান্য ভাষার মিশ্রণ পরিহার করা, ভাষাকে বিকৃত না করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সমন্বয় করা, এ বিষয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতার থেকে পাওয়া অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা, এসব মাধ্যমকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান এবং প্রয়োজনীয় জরুরি বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা, বাংলাদেশের সকল টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতারসহ ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের ইংরেজি বিজ্ঞাপনে মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাংলা ভাষার দূষণ, বিকৃত উচ্চারণ, বিদেশী ভাষার সুরে বাংলা উচ্চারণ রোধের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের আলোকে সমুদয় বব্যস্থা গ্রহণ করা ইদ্যাদি।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেলিভিশন ও বেতারে বাংলা ভাষার বিকৃতি বন্ধে হাইকোর্ট এক রুল জারি করে। সেই রুলের আলোকে মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করে। কমিটি পরে নয়টি সুপারিশ দাকিল করে।

২০১২ সালের ২২ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি তখন ৯ দফা সুপারিশও করেছিল। কিন্তু পরে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ বিলুপ্ত হয় এবং বেঞ্চের দুই বিচারপতির একজন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ও অন্যজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ পান। কমিটির সুপারিশও আর বাস্তবায়ন হয়নি।

পরে চলতি বছরের ১৭ ফ্রেবয়ারি ও ২৯ এপ্রিলের আদেশের পেক্ষিতে ওই কমিটি পুনর্গঠন করে স্থায়ী কমিটি হিসেবে এ কমিটি গঠিত হয়।



মন্তব্য চালু নেই